বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে বড় দেশগুলো দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কারসহ তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল করছেন রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো। অথচ প্রায় প্রতিটি দেশই আশঙ্কায় আছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ নিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তো বলেই দিয়েছেন এ আশঙ্কার কথা। পাশাপাশি ফের লকডাউনের মুখোমুখি হতে পারে যুক্তরাজ্য- এমন খবরও তিনি দিয়েছেন।
অক্সফোর্ডের কাছে ডিডকটে নতুন ভ্যাকসিন সেন্টারে কথা বলার সময় বরিস বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ আসতে পারে। আমরা ইউরোপের ফ্রান্স ও স্পেনে এই দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছি। শঙ্কা হচ্ছে, আমাদের দেশেও দ্বিতীয় এই তরঙ্গ আসছে।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ জোরদার করা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘হয়ত ফের লকডাউন শুরু হবে। এটি হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।’ পাশ্চাত্য দেশটিতে তিনি দ্বিতীয় দফা লকডাউন চান না বলেও জানান। বিবিসি আরও জানিয়েছে, বরিস জনসন তার দেশের জনগণকে সামাজিক দূরত্ব জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ করোনা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনী সব কিছুই করতে হবে।
যুক্তরাজ্যে আবার লকডাউনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বরিস তুলে ধরলেও সতর্কতা জারি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেন, সারা দেশে লকডাউন আবার চালু করা হতে পারে। গত জুনে লকডাউন আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতি আট দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার দ্বিগুণ হচ্ছে। ইংল্যান্ডের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের বিভিন্ন এলাকায় গত মঙ্গলবার থেকে সামাজিক দূরত্ব জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। পারিবারিক মেলামেশার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নজরদারি করছে দেশটির সরকার। সন্দেহাতীতভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে; ওপেন ইউনিভার্সিটির ব্যবহারিক পরিসংখ্যান বিষয়ের এমিরেটস শিক্ষক কেভিন ম্যাককনওয়ে এমন বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে রেস্তোরাঁ ও পাব খোলা রাখার সময় কমিয়ে আনছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে আরও ৪ হাজার ৩২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৮ মের পর প্রথমবারের মতো এক দিনে করোনায় সংক্রমণ চার হাজার পার হলো।
Posted ২:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh