| বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
প্রতিশোধ কল্পনায়
কৌম বাঁচাতে, পরিবারের নষ্ট সংহতি ফেরাতে
কিংবা সম্প্রদায়ে সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার করতে
কঠিন থেকে কঠিনতর বা আরো কিছু শক্তির মহড়া
শান দিতে হবে ত্বরায়, প্রচলিত কিছুতে নেই ভরসা।
চতুর মানুষ তাই পেরোনো সম্ভব হয়েছে শাস্তির বহু ধাপ।
নিরপরাধ যারা তারা লাঞ্ছিত হয়েছে তার হাতে যত্রতত্র
বেশুমার স্বজনপ্রীতির অশ্বধাবন কেউ থামাতে পারেনি
সাহস করে কেউ আজতক তার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেনি
ফলপ্রসূভাবে প্রতিবাদের সুরে প্রতিকারের মানসিকতায়
তারা’র তিরোধানে লাল গালিচার লাগামহীন ব্যবহার
দুষ্টজন পরিতোষণে আর ক্ষমতার প্রভাব বলয় বিস্তার।
তারা জ্বলমল আকাশে প্রভা ব্যাহত করেছে কৃষ্ণগহ্বর
সাময়িক নিতান্তই, রুখতে পারেনি সূর্যস্নাত দিনের আগমন
চাঁদের আলো বিকিরণ বন্ধ হয়নি আকাশে কিংবা বিশ্বে,
আশা, সহসাই জেগে ওঠবে তারার সহগামী নক্ষত্রসব
দীপ জ্বলমল করে প্রভা বিকিকরণ করে দেদিপ্তমান হবে
নিকষ কালো সুড়ঙ্গ আলোকিত করে ধ্বংসযজ্ঞ রোধ করবে
অদম্য সাহসে সমব্যাথাতুর সাথে নিয়ে মুখরিত শ্লোগানে।
সুমনা বোনকে নিয়ে
নিত্য দেখি ফুরফুরে মনে হাসিখুশী সুমনা বোন,
ক’দিন যাবত দেখছি ভাইয়ের কথা ভুলে গেছে।
পুরোনো খোয়াই পাড়ে যেন পড়ে আছে তার তনুমন
দিনমান কাটিয়ে দেয় সেখানে, কি ভাবনা কে জানে!
সজনে গাছে বসা পাখীসব ডাকে তারে অনুখন
সুর তুলে সমস্বরে গানে গানে বসন্তের প্রেমময় কুজনে
আমার মাছরাঙা বুনোফুল বোনটি তাকায়ওনা সেদিকে।
খঞ্জনা নাচছে অবিরাম সুমনার কাছে যায় দেয় খুনসুটি
অন্য দিন হলে সুমনা কথা বলতো হেসে হেসে
বলতো, কি হয়েছে তোদের, বলে বসতো গা ঘেঁষে।
এ বড়ো যন্ত্রণা ! সুমনা বোন আমার খোঁজ নেয়না
উৎসাহ নেই জানতে প্রবন্ধটি লেখা হয়েছে কিনা
পত্রিকাতে পাঠিয়েছি , নাকি আলস্যে তাও করিনি!
কি যে হলো তার, জিজ্ঞেস করলে মুখ ফিরিয়ে নেয়
বাদাম হাতে ধরিয়ে দিলে ও একই তিরিক্ষি মেজাজ!
পুরোনো খোয়াই পাড়ে বুঝি বা শান্ত হতে চলে যায়
দূরে যেখানে নতুন ধারা দেখা যায় দৃষ্টি তার সেথা।
বেদনাক্লিষ্ট মন, কি এক নীল কষ্ট তাকে ঘিরে রাখে!
কতো বলেছি, তোমার বন্ধু আসবে না উজান টেলে
হবিগন্জের এই ভাটির দেশে, সে যে উড়াল দিয়েছে
নীল পরীদের দেশে যেখানে তার বন্ধু এলিজা থাকে।
তুমি চলে যাও তার কাছে যে তোমাকে অহরহ ডাকছে
চা-বাগানের নির্জনতা, ক্লান্তি ভুলে অসীম মমতায়।
পড়ন্ত বেলার কবিতা
পড়ন্ত বেলায়, বিলীয়মান সময়ে এখন বাড়ন্ত দিন-ক্ষণ,
সবই মোহময়, আকাঙ্খিত মনে হয়, নিরুপায় এই সময়ে
কবিতা আবিষ্ট করে, সব কবিকেই প্রিয় মনে হয় দারুণ
অতীতের সব মোহনীয় নারীমুখ মনে পড়ে পড়ন্ত সময়ে।
কাঁশবন, লিচুতলা আর শালবন বারবার আহবান করে
শয়নে,স্বপনে , অঝোর বৃষ্টির দিনে কিংবা অলস দুপুরে।
প্রিয় সব কবির পংক্তিমালা মধুর লাগে, দোলা দেয় মনে
সুফিকথা বয়ানে যদি ও তা নামান্তরে দেহতত্ত্ব সম্মোহনে।
লালন, হাসন রাজা, করিম বয়াতিসহ নাম কত সুফি,
মরমিয়া কবি, গীতিকার , আউল, বাউল আসে ছুটে
ফুঁটে উঠে ভাঁজসব সৃষ্টির রহস্যের বিষয় গভীর অপার
উদঘাটনে যেন সৌরজগতের রহস্য কালোবিবরের অঙ্গার
উন্মোচিত হয় নেচে নেচে অত্যুজ্জ্বল চোখ ধাঁধানো রূপ
চোখ রাখতে দৃষ্টি বিস্ফোরিত মর্তভূমে রূপ বড় অপরূপ!
Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh