বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
ইমিগ্রেশন বিশেষ করে পলিটিক্যাল এসাইলাম, ডিপোর্টশেন ও সিটিজেনশীপ সহ অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শী এটর্নী নরেশ গেহি। এছাড়া ব্যাংক্রাপসী ফাইলের ক্ষেত্রে তার রয়েছে দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। এটর্নী নরেশ গেহি নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে আইনী সহায়তা করে ইতোমধ্যেই তিনি কুড়িয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ও ওজোন পার্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকায় তার রয়েছে তিনটি অফিস। এসব অফিসে আছে বাংলায় কথা বলার জন্য কর্মকর্তা। গ্রাহকদের বিনামূল্যে পরামর্শ এবং তূলনামূলকভাবে কম ফি নেয়ার কারণে তার রয়েছে বিশেষ সুনাম। তাছাড়া এটর্নী নরেশ গেহি তার সেবার মধ্য দিয়ে বড় ধরণের বিশ্বস্থতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন কমিউনিটিতে। এটর্নী গেহির মাধ্যমে যারা সুফল পেয়েছেন তারা তাদের পরিচিতজনকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার শরনাপন্ন হতে।
বিভিন্ন জটিল মামলার জট ছাড়িয়ে, ডিপোর্টেশনের খড়গ নেমে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডিপোর্টশনের জাল থেকে বের করে এনে গ্রীন কার্ড প্রাপ্তিতে সহায়তা করাসহ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বহু এসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুরের সফলতা লাভের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইনজীবী নরেশ গেহি। অফিস উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, তাদের এই প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ল’ ফার্মগুলোর অন্যতম। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা বিশেষ করে ইমিগ্রান্ট কমিউনিটি ও আনডকুমেন্টেড মানুষকে নানা রকম আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন। তারা ইমিগ্রেশন, গ্রিন কার্ড, ডিপোর্ট, ব্যাংকক্রাপসি, ক্রেডিট কার্ড ম্যাটার, পারিবারিক সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তুলনামূলক কম খরচে আইনি সেবা দিয়ে থাকেন। গেহির মূল লক্ষ্য হচ্ছে আইন ও শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা করা।
নরেশ গেহির আইনি কর্মক্ষেত্র শুধুমাত্র এসাইলাম প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এক্ষেত্রে তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান কনস্যুলার প্রসেসিং, ফ্রড ওয়েভার, ফিয়াঁসে ভিসা, পারিবারিক নির্যাতিতা, বিবাহ সূত্রে ইমিগ্রেশন, ইমিগ্রেশন বণ্ড ও ডিটেনশন, চাকুরি সূত্রে ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করাসহ সকল বিষয়ে ক্লায়েন্টদের তুলনামূলকভাবে কম মাশুলে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করছে। এমনকি বিভিন্ন বাংলাভাষীসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী ক্লায়েন্টদের ইমিগ্রেশন অফিসগুলোতে এবং ইমিগ্রেশন জজের কোর্টে ইংরেজি বলতে অসুবিধা হলে তাদেরকে ক্লায়েন্টদের নিজ নিজ ভাষায় ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে নরেশ গেহির অফিস। এমনকি প্রয়োজনে ইন্টারভিউয়ের সময় পাশে থাকেন, যাতে ভুক্তভোগীরা সাহস রেখে ইন্ট্রাভিউয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
নরেশ গেহি ব্যাংক্রাপসি, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত জটিলতা ও ঋণদানকারী সংস্থার দ্বারা ঝামেলা সৃষ্টির সমস্যা, পার্সেনাল ইনজুরি, ক্রিমিনাল কেস, ডিভোর্স ও ফ্যামিলি ল’ বিষয়ক মামলা নিস্পত্তিতেও পারদর্শী এবং এসব ক্ষেত্রেও তার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অসামান্য। নরেশ গেহি আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স এসোসিয়েশন, আমেরিকান বার এসোসিয়েশন এবং এসোসিয়েশন অফ ডিপোর্টেশন ডিফেন্স এটর্নিজ এর সদস্য হিসেবে সুনামের সঙ্গে ভূমিকা পালন করছেন। তার অফিস সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত খোলা থাকে। তার সাথে পরামর্শ করতে চাইলে তিনি ও তার সহকর্মীরা বিনা ফি’তে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং সন্ধ্যার পরও তারা এপয়েন্টমেন্টের ভিত্তিতে উপস্থিত থেকে তাদের সেবা প্রদান করেন।
নরেশ গেহি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের তিনটি অফিস রয়েছে। ভারতেও তাদের অফিস আছে। ফরেস্ট হিলের অফিস জ্যাকসন হাইটসে স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে যাতে আরও বেশি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়, সে জন্য অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে। ফরেস্ট হিলের চেয়ে জ্যাকসন হাইটসে আসতে মানুষের সুবিধা বেশি। তবে ফরেস্ট হিল অফিসের টেলিফোন নম্বর (৭১৮-২৬৩-৫৯৯৯) অপরিবর্তিত থাকবে।
তিন হাজার বর্গফুটের নতুন অফিসে ছয়জন ল’ইয়ার আছেন। প্রত্যেকের আলাদা চেম্বার রুম রয়েছে। ক্লায়েন্টদের জন্য রয়েছে সকল গোপনীয়তা রক্ষা করে কথা বলার পর্যাপ্ত সুযোগ। এ ছাড়া ইন্টারভিউয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে ইন্টারভিউ রুম। এটর্নি গেহি জানান, জ্যামাইকা এভিনিউয়ের ১৭৩ স্ট্রিটে লিবার্টি এভিনিউয়ের ওজন পার্কে তাদের অফিস রয়েছে। রোববার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুটি অফিসই খোলা থাকে। যেকোনো অফিসে কেউ সেবা নিতে চাইলে নথিপত্রসহ সরাসরি অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, নেপালিসহ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের ল’ ফার্মে ইমিগ্রেশন, বাংকক্রাপসি, ক্রেডিট ম্যাটার ছাড়াও ডিভোর্স, চাইল্ড সাপোর্ট, চাইল্ড কাস্টডি, সিটিজেনশিপ, ভিসা প্রসেসিং, ডিটেনশন, প্রিয়ন্সে ভিসাসহ লেবার ল’, ডেট-সংক্রান্ত আইনজীবী এবং বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ এটর্নি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এটর্নি নরেশ গেরি প্রতিষ্ঠিত “গেহি এণ্ড এসোসিয়েটস” নিউইয়র্কে তিনটি অফিস থেকে ছয় জন এটর্নিসহ প্যারালিগ্যাল ও অন্যান্য ৩৫ জন ষ্টাফ মেম্বার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনটি অফিসের অবস্থান হচ্ছে: ১৭৩-২৯ জ্যামাইকা এভিনিউ, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক ১১৪৩২ (ফোন: ৭১৮-৭৬৪-৬৯১১), ১০৪-০৫ লিবার্টি এভিনিউ, ওজোন পার্ক, নিউইয়র্ক ১১৪১৭ (ফোন: ৭১৮-৫৭৭-০৭১১)।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন এটর্নি হিসেবে খ্যাতির অধিকারী গেহি অ্যান্ড এসোসিয়েটস এর জ্যাকসন হাইটস অফিস গত ১২ অক্টোবর সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ অফিস অবস্থিত নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশী অধ্যুষিত অন্যতম এলাকা জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউয়ের ৭৪ স্ট্রিটে। গেহি অ্যান্ড এসোসিয়েটস এর ফরেস্ট হিলসের অফিসটিই মূলত জ্যাকসন হাইটসে স্থানান্তর করা হয়েছে। অফিসগুলোর মধ্যে জ্যামাইকা এভিনিউয়ের অফিসটি সদ্য চালু করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নরেশ গেহি। তার প্রথিষ্ঠানের এটর্নিরা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি ষ্টেটেই আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। গেহি এণ্ড এসোসিয়েটস এর কর্ম পরিধি, সাফল্য এবং তাদের আইনজীবী ও ষ্টাফ মেম্বারদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহীরা ভিজিট করতে পারেন www.gehilaw.com ওয়েবসাইট এবং যোগাযোগ করতে পারেন ইমেইল : info@gehilaw.com এ।
Posted ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh