ওয়াশিংটন ডিসি : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য কিছুক্ষণ নীরবে দাড়িয়ে থাকেন। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (ইকনোমিক) মোঃ মেহেদি হাসান, মিনিস্টার (কর্মাস) মোঃ সেলিম রেজা, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোঃ মনিরুজ্জামান এবং কাউন্সেলর শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতা এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মহান আত্মত্যাগ ও তার দীর্ঘ সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিকামী বাঙালি ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ডিসেম্বর স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন। ১৫ আগস্টকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে এবং তার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতার বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। পরে দূতাবাস আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশী প্রবাসী বিভিন্ন বয়সের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Posted ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh