বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
সারাদিন হালকা-মাঝারি বৃষ্টিতে কিছুটা আরামেই কাটছিল রাজধানীবাসীর। ঝরেছে থেমে থেমে বৃষ্টি। কিন্তু কে জানত টানা বর্ষণ থামবেই না। সন্ধ্যা নামতেই শুরু ঝুম বারিধারা। এরপর আর থামছেই না। টানা রাত সাড়ে ১১টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলে বৃষ্টি। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল গোটা রাজধানী। ডুবে গিয়েছিল শহরের বেশকিছু সড়কসহ অলিগলি। অনেক এলাকার ফুটপাতও ছিল পানির নিচে। চলতি বছরের মধ্যে আজ বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। এসব রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিল ছোট-বড় নানা ধরনের যানবাহন। হেঁটে যেখানে যেতে ১০ মিনিট লাগে, গাড়িতে সেই জায়গায় যেতে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। ২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এটি মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি। আর রাত ৯টার পরের তথ্য রাত সাড়ে ১১টায়ও দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। মূলত রাত ৯টার পর চলা টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়ে রাজধানীজুড়ে।
ভারী বৃষ্টিপাতে ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, মিরপুর, বনানী, ফার্মগেট, তেজগাঁও, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে গেছে। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দার জলবাদ্ধতার খবর জানিয়েছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি গলি থেকে একজন ভিডিও করে পাঠিয়েছে সমকালের কাছে। সেখানে একটি গলিতে হাঁটু পানি দেখা গেছে। দুই পাশের দোকানেও পানি প্রবেশ করেছে। শান্তিনগর থেকে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে একজন লিখেছেন, ‘নদীর নাম শান্তিনগর।’ এ ছাড়া মিরপুর রোড, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউর বিভিন্ন অংশ, আসাদ গেট, তেজতুরী বাজার, কারওয়ান বাজার, রায়েরবাজার ও হাজারীবাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকাজুড়ে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ ছিল অবর্ণনীয়।
Posted ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh