বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
নিউইয়র্ক সিটি হেলথ কমিশনার ডা: দেব এ চকশি সিটির কুইন্স বরো বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন যে, কুইন্সে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃতের সংখ্যা লখ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার কুইন্স বরো বোর্ডে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি বলেন, কুইন্সে
সংক্রমণের হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ কারণে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ও মৃত্যুহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই এই ভাইস নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন পর্যন্ত ভাইরাসের কোনো ক্লান্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে অবস্থান, হাত ধৌত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এবং করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা টেষ্ট করার জন্য কুইন্সবাসীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, যদিও নিউইয়র্ক সিটির হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে, তবুও প্রত্যেকের সতর্কতার জন্য করোনা টেস্ট করা জরুরী। চকশি বলেন, কুইন্সের সবচাইতে বেশি সংক্রমিত এলাকা করোনা ও জ্যামাইকাসহ ২৭টি এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত নয় মাসে কুইন্সের ৯৫,০০০ এর অধিক বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৬,০০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ।
৯ বাংলাদেশির মৃত্যু : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এক মাসের ব্যবধানে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ বাংলাদেশি। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কয়েক শতাধিক। এরা সকলেই নিউ ইয়র্ক, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, পেনসিলভানিয়া, নিউজার্সি, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড ও ওয়াশিংটন ডিসি’র বাসিন্দা বলে জানা গেছে। নিউইয়র্কে প্রবাসীদের বড় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক খায়ের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
নিউ ইয়র্কে বিভক্ত চট্টগ্রাম সমিতির একাংশের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া গত ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আগের দিন রাতে তাকে অ্যাস্টোরিয়ার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক সিটির রিচমন্ডহিলে বসবাসকারী কাজী তাইফুর হোসেনের মা হেনোরা বেগম গত ৬ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত এনামুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ ডিসেম্বর বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাদীন অবস্থায় মারা যান। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের প্রবীণ ব্যক্তি এবাদুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে মৃত্যুবরণ করেছেন।
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসনে আলতাফুর রহমান গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ওয়েলিংফোর্ডের বাসিন্দা আবদুল হক গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় ইয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ খসরু ৯ ডিসেম্বর সকালে ১১টার দিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও নিউ ইর্য়কের বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ হারুন খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে লং আইল্যান্ড জুইস (এলআইজে) হসপাতালে মারা যান।
Posted ৩:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh