বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
চাকরি হারানো হাসেন জাবের। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় গত বছরের অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চলছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এই গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, এমন মন্তব্য করে চাকরি হারালেন নিউইয়র্কের হাসপাতালে কর্মরত একজন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান মুসলিম নার্স। খবর : রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি হারানো হাসেন জাবের নামের ওই নার্স গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় সন্তান হারানো শোকার্ত মায়েদের নিয়ে কাজ করেন। এই কাজের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি গাজার ‘গণহত্যা’ নিয়ে কথা বলেন।
এই নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিভাজনমূলক’ এই বিষয়ে কথা না বলতে লেবার এবং ডেলিভারি নার্স জাবেরকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে জাবের জানান, গত ৭ মে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তখন তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরই তাকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাবের তার বক্তব্যের একটি অংশে গাজা যুদ্ধে সন্তান হারানো শোকার্ত মায়েদের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, এই পুরস্কার তার কাছে ‘খুবই ব্যক্তিগত’ গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যার মধ্যে আমার দেশের নারী যে অকল্পনীয় ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দেয়। এক ইমেইল বার্তায় হাসপাতালটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে এই ‘বিভাজনমূলক এবং বিচারাধীন বিষয়ে’ যেন কথা না বলেন, সে জন্য গত ডিসেম্বরে নার্স হাসেন জাবেরকে সতর্ক করা হয়েছেল।
তিনি আরও বলেন, তার পরিবর্তে জাবের কর্মীদের মূল্যায়নের একটি অনুষ্ঠানকে বেছে নেন, যেখানে তার অনেক সহকর্মী উপস্থিত ছিল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার মন্তব্যে মর্মাহতও হয়েছে। তাই জাবের আর এনওয়াইইউ ল্যাংগোনের কর্মী থাকছেন না।
Posted ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh