বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইপিডি) সাদা পোশাকধারী দুই অফিসার কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে টহল দায়িত্ব পালন করার সময় এক পতিতাকে হুমকি দিয়ে তার অর্থ ছিনতাই এবং তার শরীর স্পর্শ করাসহ উত্যক্ত ও দুর্ব্যবহার করার কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন।
কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে যে, গত সোমবার ৩১ মার্চ সকালে পুলিশ বিভাগের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসার জাস্টিন ম্যাকমিলান (২৭) ও জাস্টিন কোলন (২৪)। কিন্তু আদালতের রেকর্ড অনুসারে দুজনই বিচারক জেসিকা আর্ল-গারগানের সামনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন যে গত জুলাই মাসে জ্যাকসন হাইটসের একটি ভবনে পতিতাবৃত্তির ঘটনা ঘটে মর্মে ৩১১ নম্বরে ফোন পাওয়ার পর দুই পুলিশ অফিসার উক্ত ভবনে যান। ভবনে পৌঁছার পর, তারা তাদের বডি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে পাশের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন এমন এক মহিলার কাছে যান এবং তাদের সঙ্গে অ্যপার্টমেন্টের ভেতরে যেতে বলেন। ভেতরে যাওয়ার পর তারা মহিলার ব্যাগের জিনিসগুলো ফেলে দেয়। মহিলা দৌড়ে পালিয়ে গেলে দুই পুলিশ অফিসার তার চাবির গোছা নিয়ে নেয়, যে গোছায় ভবনে ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রবেশের চাবিও ছিল।
এরপর অফিসারদ্বয় তখন তাদের টহল অব্যাহত রাখেন। ভবনে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে তারা কোনো রিপোর্ট করেননি। আট ঘন্টা পরও তারা কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন এবং তাদের বডি ক্যামেরা দ্বিতীয় বারের মতো নিস্ক্রীয় করে সাথে নিয়ে যাওয়া চাবি ব্যবহার করে পুনরায় ওই ভবন ও অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। ভেতরে তারা পতিতাবৃত্তিতে জড়িত ভিন্ন এক মহিলাকে পান এক পুরুষের সঙ্গে। অফিসাররা প্রবেশ করতেই খদ্দের লোকটি তড়িঘড়ি পালিয়ে যায়। অফিসাররা মহিলার হাতব্যাগ থেকে থেকে অর্থ নেয় এবং তাকে হুমকি প্রদান করে।
মহিলাটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চলে যাওয়ার পর ম্যাকমিলনা ও কোলন ১১৫ প্রিসিঙ্কটে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় ঘটনার পর পুলিশ ৯৯১ এর একটি কল পায় এবং ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো তদন্ত শুরু করে।
দুই অফিসারের আইনজীবীরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্দা কাটজ বলেছেন, এ ধরনে মামলা থেকে প্রমাণিত হয় যে সিটির পুলিশ রয়েছে সিটিবাসীর সেবা ও নিরাপত্তা দিতে। অভিযুক্ত দুই অফিসার ২০২৩ সালে পুলিশ একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়। বিচারক আর্ল-গারগান ২৮ এপ্রিল পুনরায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত তারা সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড লাভ করবেন। পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেছেন, যে কোনও অফিসার তাদের শপথ লঙ্ঘন করলে যথাযথ তদন্ত হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
Posted ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh