বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ
নিউইয়র্ক সিটিতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে সম্প্রতি। বিশেষ করে বন্দুক সহিংসতায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। এছাড়া বেড়েছে খুন ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই সহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ড। সিটির প্রায় প্রতিটি বরোতেই অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে উৎকক্তা। এসব সমস্যাকে সামনে রেখে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাদের সাথে মত বিনিময় করছে শান্তি-শৃংখলা নিয়ে। স্থানীয় প্রিসিঙ্কটের কর্মকর্তাগণ আয়োজন করছেন এসব আয়োজন। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার- জেএমসিতে ১০৭ প্রিসিঙ্কটের পুলিশ কর্মকর্তাগণ স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময় করেন। ব্রায়ার উড এবং জ্যামাইকা পাবলিক সেফটি মিটিং নামে মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে। জেএমসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চলমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন, ১০৭ পুলিশ প্রিসিঙ্কটের নেইবারহুড কোঅর্ডিনেশন অফিসার টেরেন্স নরউড, শোয়াকী আহমেদ সহ আরো কয়েকজন অফিসার।
জ্যামাইকা হিলস এবং স্টেটের বিশেষ করে হিলসাইড এভিন্যু এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনেকগুলো অপরাধ কর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন পুলিশ অফিসারগণ। তন্মধ্যে গাড়ী হাইজ্যাকের চেষ্টা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, বন্দুক সহিংসতা ও প্রতারণার বিষয় গুলো উঠে আসে। প্রতিটি ঘটনার উল্লেখ করেন তারা। কয়েকদিন পূর্বে ১৬৬ স্ট্রীট এবং হাইল্যান্ডের উপর একটি গাড়ি হাইজ্যাকের চেষ্টা করে এক দুর্বৃত্ত। গাড়িটি চালু অবস্থায় রেখে বাজারের ব্যাগ নামানোর সময় দুর্বত্ত গাড়িটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এছাড়া ১৬৮ স্ট্রীটে গ্যাং সম্পর্কিত বন্দুক সহিংসতা ও বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গে কথা বলেন, পুলিশ অফিসারগণ। টেলিফোনে আইআরএস সহ বিভিন্ন সংস্থার নামে প্রতারণা থেকে সাবধান ও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। ফোনে এ ধরণের কোন হুমকি আসলে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন পুলিশ কর্মকর্তাগণ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ অনেকগুলো সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে হিলসাইড এভিন্যু ও ১৬৮ স্ট্রীট সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাত জুড়ে আড্ডার বিষয়টি নজরে আনা হয় পুলিশের। প্রায় প্রতিদিন বিকেলে এলাকাটির ফূটপাত একধরণের মানুষ দখল করে ঘন্টার পর ঘন্টা সাধারণ পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত করে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাস খেলে। সিগারেট ফুঁকে। এদের কারণে মহিলা ও শিশুরা স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে না ফুটপাতে। আড্ডাবাজরা রাস্তায় যেখানে সেখানে গার্বেজ ছুড়ে ফেলে। ফলে এলাকায় বাড়ছে জন ভোগান্তি। এলাকার পরিবেশ ক্রমেই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। হিলসাইড এভিন্যুর ব্যবসায়ীরাও এধরণের অভিযোগ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া ১৬৮ প্লেস এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় হোমলেসদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ বলেও জানানো হয় পুলিশকে। হিলসাইড এভিন্যুর ডাবল পার্কিংয়ের বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। এসব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্মকর্তাগণ। পুলিশ কর্মকর্তা ও ১০৭ প্রিসিঙ্কটকে মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান জেএমসি’র সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেএমসি’র কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার। মত বিনিময় সভায় জেএমসি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ বাবুল মজুমদার, জয়েন্ট সেক্রেটারী হুমায়ুন খান, সদস্য ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার ও ফজলুর রহমান। কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দ অনেকের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তৈয়বুর রহমান হারুন। উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে স্ন্যাকস দিয়ে আপ্যায়ন করেন পুলিশ কর্মকর্তাগণ।
Posted ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh