বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জ্যামাাইকা মুসলিম সেন্টার-জেএমসি নিউইয়র্কে বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটি পরিচালিত সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। মসজিদের নিয়মিত কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে আল মামুর স্কুল ও জামিয়া কুরানিয়া একাডেমী। এছাড়াও খন্ডকালীন ধর্মীয় শিক্ষার জন্য রয়েছে উইকএন্ড এবং সামার ইসলামিক স্কুল। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার-জেএমসিতে এবারের সামারে ছোট শিশুদের দেয়া ধর্মীয় শিক্ষা সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় গত গত ৩ সেপ্টেম্বও, রোববার।
পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও শুভান্যুধায়ীরা। বিপুল সংখ্যক পিতা-মাতার উপস্থিতিতে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হাওয়া এ অনুষ্ঠান চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এসময় সামার ও উইকেন্ড ক্লাসে শীর্ষে থাকা ৪ কৃর্তী ছাত্র-ছাত্রীকে দেয়া হয় পুরস্কার। অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
মসজিদের ইমাম আবু জাফর বেগ পরিচালনা করেন অনুষ্ঠান। তাঁকে সহযোগিতা করেন মুফতি ওমরসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সামার স্কুলের চেয়ারম্যান ও মসজিদ কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, জেএমসি জামিয়া কোরআনিয়া একাডেমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, ট্রেজারার বাবুল মজুমদার, এক্সিকিউটিভ মেম্বার আজহার হক, মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন, হাফেজ মামুনুল হক, জেএমসির অফিস সেক্রেটারি ওয়াহিদুর রহমান খানসহ মসজিদের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় নতুন প্রজন্মের কয়েকজন নাসিদ পরিবেশন ও আলোচনায় অংশ নেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ হামদান।
শুরুতেই সামার স্কুলের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি উপস্থিত পিতা-মাতা ও ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা এবং ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কে ছেলেমেয়েদের সম্যক জ্ঞানদান না করতে পারলে পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ধরে রাখা যাবে না। সন্তানদেরকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অভিভাবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তাগণ। তারা বলেন, আমেরিকায় ইসলাম ভীতির যে প্রবণতা চলছে এ থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রতিবেশী সহ সমাজে ইসলামের সত্যিকার যে আদর্শ তার ব্যবহারিক প্রমাণ রাখতে হবে।
বক্তাগণ অভিভাবকদেরকে তাদের নিজ নিজ সন্তানকে ধর্মীয় জ্ঞান ও শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে সামারের অবকাশকালীন সময়কে কাজে লাগানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী। শুধু সামার নয়, উইকএন্ড এবং ইসলামী স্কুলে সন্তানদেরকে ভর্তি করতেও উৎসাহ দেন বক্তাগণ।
হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম পবিত্র কোরআন এবং ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে নতুন প্রজন্মকে এ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অভিভাবকদের আরো যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর সামার স্কুলে অংশ নেয়া বিভিন্ন গ্রুপে শীর্ষ ৪ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। একে একে পুরস্কারগুলো হস্তান্তর করেন ইমাম, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষকরা।
ইমাম আবু জাফর বেগ নতুন প্রজন্ম ইসলামের দীক্ষায় আলোকিত করতে পিতা-মাতার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উইকেন্ড ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত প্রেরণের অনুরোধ জানান। তিনি জানান আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে প্রতি শনি ও রোববার উইকেন্ড ক্লাসগুলো সকাল ৯.৪৫ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। পরিবেশে মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ। এর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Posted ১:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh