স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
হামবুর্গের মহারণ শেষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতো কাঁদলেন পেপে। পর্তুগালের জার্সিতে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আর মাঠে নামা হবে না এটা ভেবেই হয়তো আবেগ ছুঁয়ে গেল তাকে। দলের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার বহিঃপ্রকাশও হতে পারে এটা। রোনালদো অবশ্য আগের ম্যাচের মতো কাঁদলেন না।
নির্জন নদীর মতো বয়ে চললেন ‘সিআর সেভেন’। এক পা, দু পা করে এগোতে থাকলেন টানেলের দিকে। তার গতি কিছুটা রোধ করে সান্ত্বনা দিলেন প্রধান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। বেলজিয়ান কোচ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপের অঝর শ্রাবণ থামানোরও বৃথা চেষ্টা করলেন। মাঠ, টানেল কিংবা গ্যালারি সবখানেই তিনি দেখলেন লাল-সবুজের হতাশা।
শুক্রবার রাতে পর্তুগালকে এই হতাশা উপহার দিয়েছে ফ্রান্স। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফরাসিরা বিদায় করেছে রোনালদো অ্যান্ড কোংকে। দুই ঘণ্টা গোলশূন্য লড়াইয়ের পর টাইব্রেকে বাজিমাত করে দিদিয়ের দেশামের দল। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৫-৩ গোলে জিতে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা উঠে গেল এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে।
শেষ ষোলোর রাউন্ডে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকে ৩-০ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে টুর্নামেন্টে তিনটি পেনাল্টি ঠেকানোর কীর্তি গড়েছিলেন ডিয়েগো কস্টা। অথচ ফ্রান্সের বিপক্ষে ঠেকাতে পারলেন না একটিও। পেনাল্টি আটকাতে পারেননি ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইগনানও। তার কাজটাই করে দিয়েছেন পর্তুগিজ ফরওয়ার্ড হোয়াও ফেলিক্স।
বাঁ পাশে ফেলিক্স যে শটটা নিয়েছেন সেদিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন মাইগনান। কিন্তু নাগাল পাননি। বল অবশ্য পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফেলিক্সের পেনাল্টি মিসের আগ পর্যন্ত দুই দলই শুরুর দুই পেনাল্টি থেকে গোল করেছিল। স্পট কিক থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন রোনালদো। পর্তুগালের আরও দুজন গোল করেছেন।
কিন্তু ফেলিক্সের ভুলের মাসুল দিতে পারেননি কেউ। পুরো ম্যাচে দারুণ কয়েকটা সেভ করা কস্টা শুধু এদিক-ওদিক ঝাঁপই দিলেন। বলের নাগাল পেলেননি একটিরও। পেনাল্টির শেষ শটটা নিতে পারেনি পর্তুগাল। তার আগেই সর্বনাশ হয়ে গেছে। থিও হার্নান্দেজ টাইব্রেকারে ফ্রান্সের হয়ে পঞ্চম শট নেওয়ার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে অ্যান্ড কোং।
এমবাপ্পেকে একটু বেশিই উচ্ছ্বাসিত দেখা গেল। আসলে অধিনায়ক বলে হয়তো একটু বেশিই চাপে ছিলেন। তা ছাড়া এবারের ইউরোতে নিজেকে ক্রমশ হারিয়ে খুঁজছেন তিনি। পর্তুগালের বিপক্ষে পুরো দেড় ঘণ্টা খেলেও গোল পাননি। একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। কম যাননি তার আদর্শ তথা প্রতিপক্ষ রোনালদোও। সহজ দুটি সুযোগ মিস করেছেন। সবমিলিয়ে হতাশায় মোড়ানো থাকল ইউরোতে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা।
Posted ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh