| শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০২০
প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিলে এক টুইটে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সকল অভিবাসন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে যাচ্ছেন। এমন ঘোষণার পর বেশ কিছু ভিসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা এমন নির্দেশ কার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে ওঠা কঠিন। তাছাড়া, টুইটে নতুন নিয়মগুলো সম্পর্কে ধারণাও পাওয়া যায়নি ওই ঘোষণা অনুসারে, গ্রিনকার্ড ও কয়েক ধরনের ভ্রমণ ভিসা প্রদান স্থগিত করা হয়। অর্থাৎ, নির্দেশনাটি জারির আগে সেসব ভিসা ও গ্রিনকার্ড হাতে না পাওয়া ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে জুন মাসে নির্দেশনাটির সময়সীমা বাড়ানো হয়। ট্রাম্পের ওই টুইটের কিছুক্ষণ পরই সরকারি এক নির্দেশনায় বলা হয়, আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান রক্ষার্থে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, বেশ কিছু কর্মভিসা প্রদান এ বছরের শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা। একই সময়জুড়ে জারি থাকবে নতুন গ্রিনকার্ড ইস্যু করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও। সরকারি নির্দেশনাটি কার্যকর হয় গত ২৪ জুন থেকে। এর মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এছাড়া- বেশ কিছু ইমিগ্রেশন এবং ওয়ার্ক আবেদনের ক্ষেত্রে নাটকীয়ভাবে ফি বৃদ্ধি করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) এ ঘোষণা দিয়েছে। এ অনুযায়ী, আশ্রয় প্রার্থনা বা এসাইলাম আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যাচারালাইজেশন এপ্লিকেশনের ফি প্রথমবারের মতো এক লাফে ৫০০ ডলার বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অনলাইন ফক্স ১১ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনলাইনে ন্যাচারালাইজেশন ফি এর আগে ছিল ৬৪০ ডলার। তা শতকরা ৮৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ১১৭০ ডলার করা হয়েছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়েছে ইউএসসিআইএস। তারা বলেছে, আবেদনের পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হবে নতুন ন্যাচারালাইজেশন ফি।
যুুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্রেশনের দেশ। বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষ বিভিন্ন সময় এদেশে অভিবাসীত্ব গ্রহণ করেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ মিলিত হয়েছে একই স্রোতে। এরা সবাই আমেরিকান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্বপুরুষ আমেরিকা এসেছে জার্মান থেকে। আমেরিকা একটি মহান দেশ। এদেশের সংবিধান প্রতিটি মানুষের সকল মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করেছে। নিতান্ত রাজনৈতিক অভিলাশ চরিতার্থ করা কিংবা ব্যক্তিগত ইগুর কারণে মানুষের অধিকার হরণ করা আমেরিকার সংবিধানের পরিপন্থি। অতীত ইতিহাস এমন সাক্ষ্যই বহন করছে। আমরা আশাবাদী আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেেেখ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সদয় হবেন তিনি অভিবাসীদের প্রতি।
Posted ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh