বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ভোটকেন্দ্রে নিজের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। এ সময় ভোট সুষ্ঠু হবে কি না এ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ১৭ জুলাই (সোমবার) সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন হিরো আলম।
একতারা প্রতীকের এ প্রার্থী বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি।’
হিরো আলম বলেন, ‘যারা আমার লোকদের বের করে দিয়েছেন তাদের বুকে আওয়ামী লীগের ব্যাজ ছিল। আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ আমার ওপর হামলা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজেন্ট বের করে দিয়ে তারা একতরফা সিল মারার পরিকল্পনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত আমি সিল মারার ঘটনা শুনিনি। কিন্তু আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে এবং মারধর করছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না আমরা তা জানি না।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন হিরো আলম এজেন্ট দেয় না। আমরা কিন্তু ঠিকই এজেন্টদি। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। এমনকি আমাদের মহিলাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। একজনের মোবাইল নিয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রে তাদের কোনো গুরুত্বই নেই।’
হিরো আলম বলেন, ‘ফলাফল কী হবে সেটা বিষয় না, আমরা শেষ সময় পর্যন্ত দেখব। দেখতে চাই তারা আমাদের ওপর কত অত্যাচার করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানোর পর বলল যে তারা দেখবে। এভাবে চললে তাদের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়।’
এ সময় হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ইলিয়াস জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৬২৪ জন এজন্ট দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অন্তত ১০-১২টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
বস্তি এলাকার কেন্দ্রে আড়াই ঘণ্টায় ৩৩ ভোট : ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের সব কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি কম। অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে সর্বত্র একই অবস্থা। ভোটারের অনুপস্থিতিতে অলস সময় পার করছেন পোলিং এজেন্টরা। কেউ ঝিমুচ্ছেন আবার কেউ গল্প করে সময় পার করছেন। একই অবস্থা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের।
কড়াইল বস্তি এলাকার টি এন্ড টি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এসে দেখা যায়, এখানে ৩০২৪ জন মহিলা ভোটারের জন্য ৬টি বুথে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ প্রথম আড়াই ঘণ্টায় বেলতলা, আদর্শনগর ও টিভি গেইট এলাকার ভোটারে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৩টি। এই সেন্টারের বাহিরে বিভিন্ন প্রার্থীদের ব্যাপক সমর্থক উপস্থিত থাকলেও ভেতরে ভোটারের দেখা নাই।
অনেকর বাইরে থেকে স্লিপ নিয়ে ভেতরে গিয়ে সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে মিল না পেয়ে ভোট দিতে পারছেন না। প্রিজাইডিং অফিসার ওবায়দুল হক ভূইয়া মানবজমিনকে বলেন, মাত্র ১.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভেবেছিলাম এই সেন্টারে নিম্ন আয়ের বস্তি এলাকার ভোটার বেশি। তারা হয়তো আগ্রহ সহকারে এসে ভোট দিবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা ভোট পড়েছে তা হতাশাজনক।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh