বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করার চেষ্টা করলে সে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এ দেশের মানুষ তা করতে দেবে না। দেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে, তারা ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আপনাদের (বর্তমান সরকার) জানিয়ে দিয়েছে ‘নো’। আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’
১৬ আগস্ট (বুধবার) ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজ শুধু বাংলাদেশেই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও বলা হচ্ছে যে অতীতে আওয়ামী লীগের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ভীষণ অসুস্থ, যিনি এ দেশের জন্য, মানুষের জন্য এই জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। এবার সব শক্তিকে একত্র করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এ সরকারকে একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীন ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য করা হবে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া, ম খা আলমগীর, হাজী সেলিম এমনকি ক্যাসিনো সম্রাটকেও জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়া এ দেশের মানুষের হৃদয়ের মণি তার জামিন দেওয়া হয় না।’
‘এই সরকারের ১৫ বছরে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবর দেওয়া হয়েছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) একমাত্র লক্ষ্য যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া,’ বলেন মির্জা ফখরুল।
‘এজন্য তারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সবক্ষেত্রে দলীয়করণ করছে। ঠিক নির্বাচনের আগে আগে গোটা দেশে ডিসি-এসপি, ইউএনও-ওসি পরিবর্তন করে তাদের মনঃপুত লোকদের বসানো হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘এখনকার ডিসি আর এসপিদের কথা শুনে মনে হয় যে তারা আওয়ামী লীগের বাবা। আমার কাছে খবর আছে যে (আওয়ামী লীগ) জেলা প্রশাসন, এসপি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পরিবর্তন করে, তাদের দিয়ে ছক কাটা সম্পন্ন করে ফেলেছে, নির্ধারণ করে ফেলেছে কোন ছকে নির্বাচন করলে তারা আবার জয়ী হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ১০টিও আসন পাবে না এমন কথা আওয়ামী লীগ বললেও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিল। ওই ৫ বছরে বাংলাদেশের মৌলিক পরিবর্তন তিনি করেছিলেন। তিনি সবার মতামতের ভিত্তিতে এমনকি আওয়ামী লীগের মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেন।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা অনেক লড়াকু। কিন্তু জাগবেন কবে? এই সরকার নির্বাচন করে ফেললে জাগবেন? এবার যদি তারা নির্বাচন করে নিতে পারে, আওয়ামী লীগ আমাদের (বিএনপি) কচুকাটা করবে। তাহলে কী করতে হবে? সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হবে।’
এ অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছিলেন।
Posted ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh