বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। ২২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
তিনি জানিয়েছেন নির্বাচনি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তার প্রার্থিতা থাকার সুযোগ ছিল না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই মিথ্যা তথ্য দেওয়ার ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা বা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা।
তার আমলে হওয়া ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিগত তিনটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সেভাবে প্রশ্ন ছিল না। এবার দুদক ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনার হলফনামার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনা এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেন বলে জানিয়েছে দুদক।দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার তৎকালীন সময় স্থাবর সম্পদ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
আর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে দুই কোটি তিন লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য আড়াল করার প্রমাণ মিলেছে বলে দুদক জানিয়েছে।
Posted ৭:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh