নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত, সমাজসেবক শাহরিয়ার রহমান আবারও প্রমাণ করলেন মানবিকতার জন্য দূরত্ব কোনো বাধা নয়। তার নেতৃত্বে পরিচালিত ‘ভালো’ ফাউন্ডেশন এবার রমজান মাসজুড়ে বাংলাদেশে, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহরে, এক ব্যতিক্রমী কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে, যা প্রশংসা কুড়াচ্ছে সর্বত্র। রমজান মাসব্যাপী ‘ভালো’ ফাউন্ডেশন প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার রোজাদারের জন্য পুষ্টিকর ও মানসম্মত ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে। ‘প্রতি এক ডলার, এক ইফতার’-এ বার্তাকে সামনে রেখে ফাউন্ডেশনটির অনলাইন ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন মাত্র ২৫ দিনেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি অনুদান সংগ্রহ করে। এর ফলে ২৫ দিনে বিতরণ করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি ইফতার প্যাকেট।
প্রতিদিনের ইফতার প্যাকেটে ছিল খেজুর, ভুনা খিচুড়ি, ডিম, পেঁয়াজু, বেগুনি, ফলমূল ও বিশুদ্ধ পানি। প্রতিটি প্যাকেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত পরিশ্রমে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়।
শুধু খাদ্য সহায়তাই নয়, ভালো ফাউন্ডেশন চিন্তা করেছে শিশুদের নিয়েও। এ জন্য আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমধর্মী ‘ঞড়ু উৎরাব’। যার মাধ্যমে শত শত শিশু পেয়েছে তাদের কল্পনার খেলনাÑটেডি বিয়ার, পুতুল, ছোট গাড়ি ও শিক্ষণীয় খেলনা। ঈদের আগে এই উপহারগুলো শিশুদের জন্য রীতিমতো ঈদের আগাম আনন্দ হয়ে ওঠে।নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত এবং সমাজসেবামূলক কাজে নিবেদিত, ডিএইচ কেয়ারের কর্ণধার শাহরিয়ার রহমান বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভালো কাজের কোনো ভৌগোলিক সীমা নেই।
নিউইয়র্ক হোক কিংবা নারায়ণগঞ্জ কিংবা বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তেই হোকÑমানুষের পাশে দাঁড়ানোই ‘ভালো’র লক্ষ্য।তিনি আরও বলেন, ‘ভালো’ শুধু একটি ফাউন্ডেশনের নাম নয়, এটি একটি চেতনা।
যা নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সমাজসেবীরা অভাবনীয় এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন।তাদের অনেকে বলেন, প্রবাসে থেকেও কেউ যদি এভাবে দেশের মানুষের জন্য ভাবেন এবং কাজ করেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।‘ভালো’ ফাউন্ডেশনের এই ইফতার ও টয় ড্রাইভ কর্মসূচি প্রমাণ করেছে, একুশ শতকে দূরত্ব নয়, মন ও মানসিকতাই বড় শক্তি। আর এই মন ও মানসিকতাই শাহরিয়ার রহমান ও তার ভালো টিমকে এগিয়ে রাখছে সব মানবিক কার্যক্রমে। উল্লেখ্য, এর আগেও সমাজসেবক শাহরিয়ার রহমান সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং নিউইয়র্কে মানবিক নানা কাজ করেছেন। বিগত বন্যায় ‘ভালো’র উদ্যোগে দেশে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া বন্যা-পরবর্তী সময়ে ‘ভালো’র অর্থায়নে ঠিকানা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। নিউইয়র্কেও শাহরিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ‘ভালো ফাউন্ডেশন’ গরিব মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা সেবামূলক কাজে নিবেদিত রয়েছে।
Posted ১:১১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh