বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, গত এক বছরে আমরা নিউইয়র্কে প্রায় ২৭ হাজার নতুন অ্যাফোর্ডেবল আবাসিক ইউনিট তৈরি ও সংরক্ষণ করেছি এবং যারা আবাসনের অভাবে শেল্টার হোমে বাস করছে, তাদের ৯০ দিনের মধ্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার যে বিধি তা তুলে নেওয়া হয়েছে। যারা শেল্টার হোমে আছেন, তাদেরকে এখন আর ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে না। তারা অবিলম্বে তাদের হাউজিং ভাউচার নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী আবাসে উঠতে পারবেন। তিনি দাবি করেন যে, ভাউচার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এ বছরই নিউইয়র্কে সর্বাধিক সংখ্যক লোক স্থায়ী আবাসে উঠেছে।
সাপ্তাহিক অপ-এড নিবন্ধে মেয়র এরিক বলেন, বিশ্বের সকল অংশ থেকে আগত মানুষের সিটি নিউইয়র্ক, এখানে তাদের অনেকে স্থায়ী আবাস গড়ে তোলে। আমরা ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতে পারি, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সকলে যা চাই, তাহলো, কর্মসংস্থান, সন্তানদের জন্য ভালো স্কুল, জননিরাপত্তা এবং আমেরিকান স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সুযোগ। এই স্বপ্নে মূল অংশ হচ্ছে, একটি অ্যাফোর্ডেবল বাড়ি এবং আমাদের সিটি। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যে সকল ধরনের আয়ের মানুষের জন্য অধিক সংখ্যক আবাসিক ইউনিট গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটির তালিকাভূক্ত অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে ১৫০০ ডলারের নিচে ভাড়ায় নতুন ভাড়াটেদের জন্য পাওয়া যায়।
অবশ্য এই সংখ্যা মোট তালিকাভূক্ত অ্যাপার্টমেন্টের মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু ১৫০০ ডলার ভাড়া গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন। আগের চেয়ে এখন অ্যাফোর্ডেবল আবাসনের প্রয়োজন অনেক বেড়েছে। আমি কঠোর পরিশ্রমী নিউইয়র্কারদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা তাদের পরিবারের জন্য তাদের আয় সাধ্যের মধ্যে বাসোপযোগী বাড়ি খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। যারা শেল্টার হোম ও তাবুতে বাস করছেন, আমি সেইসব ভাইবোনদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তারা যখন একটি অ্যাফোর্ডেবল বাড়ির চাবি পান তখন তাদের মুখে হাসি ও স্বস্তি দেখে অবিভূত হই যে শেষ পর্যন্ত তারা একটি স্থায়ী, নিরাপদ বাড়ি পেয়েছেন, যেখানে বাস করে তারা তাদের আমেরিকান স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হবেন। সেজন্য আমাদের প্রশাসন আগামী দশকের মধ্যে নিউইয়র্কারদের জন্য ৫০০,০০০ নতুন ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং এই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, প্রতি ১৭ জন নিউইয়র্কারের মধ্যে একজন সরকারি আবাসে বাস করেন। আমরা নিউইয়র্ক সিটি হাউজিং অথরিটির মাধ্যমে তাদের আরো ক্ষমতা দিচ্ছি, যাতে সরকারি আবাসে বসবাসকারীরা তাদের সুবিধা অনুসবিধাগুলো জানান এবং হাউজিং অথরিটি প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কার কাজ অবিলম্বে সম্পন্ন করে।
এই প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে নাম লিখিয়েছে। গতবার এ স্থানে ছিল ইসরায়েলের শহর তেল আবিব। তবে এবারের তালিকায় তেল আবিবের অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া চতুর্থ অবস্থানে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং শহর । ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় নিউইয়র্কের নাম শীর্ষ স্থানে উঠে আসার কারণগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মূল্যস্ফীতি।
এ কারণে ব্যয়বহুল ১০টি শহরের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি শহর—লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোও রয়েছে। এই দুটির মধ্যে হংকংয়ের সঙ্গে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস; সপ্তম অবস্থানে সান ফ্রান্সিসকো। আর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ষষ্ঠ অবস্থানে ও সপ্তম অবস্থানে জেনেভা। ফ্রান্সের প্যারিস নবম অবস্থানে রয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেন রয়েছে দশম স্থানে।
Posted ৫:২৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh