বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
আগামী ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্টেটে ১৭০,০০০ ডোজ করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আসছে এবং নিউইয়র্ক সিটিতেও আগামী সপ্তাহেই এ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। গত মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, আমরাই প্রথম কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি। গত ১০ মাস ধরে আমরা এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে কাটিয়েছি। আমি আশা করছি যে আমরা সহসাই আলোর মুখ দেখতে পাবো। নিউইয়র্ক ওয়ান নিউজের রিপোর্টেও ১৭০,০০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। লেনক্স হিল হাসপাতালের কোভিড সেকশনের কর্মরত নার্স কারেন ক্যানিংহ্যাম ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পর্কে বলেন, একজন ব্যক্তিকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে। ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায়।
অন্যদিকে মডারনার ৪০ হাজার ভ্যাকসিনও আসছে। এই ভ্যাকসিনও নিতে হতে দুই ডোজ এবং এক সপ্তাহের ব্যবধানে। এ মাসের শেষদিকে উভয় কোম্পানির প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনের আরো অধিক পরিমাণে ডোজ এসে পৌছবে। গত সপ্তাহের শুরুতে স্টেট গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো বলেছেন যে, প্রথম দফায় ফাইজারের ভ্যাকসিন যাবে নার্সিং হোম ও সেখানে যারা সেবাকাজে নিয়োজিত থাকেন তাদের জন্য। কারণ করোনাভাইরাসে নিউইয়র্ক স্টেটে ইতোমধ্যে যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে ৬,০০০ রোগী ও কয়েকশত চিকিৎসক ও সেবাদানকারী মারা গেছে নার্সিং হোমগুলোতে। নিউইয়র্কে নার্সিং হোম রেসিডেন্ট সংখ্যা প্রায় ৮৫ হাজার এবং স্টাফ সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। তবে আশার কথা যে, হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তির হার হ্রাস পেয়েছে এবং হাসপাতালে মৃতের হার গত এপ্রিল-মে মাসের ২৩ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। নিউইয়র্ক স্টেটের হাসপাতাল, নার্সিং হোমসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে চিকিৎসকসহ প্রায় ৬ লাখ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী রয়েছেন এবং ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে ইমার্জেন্সি রুম, আইসিইউ এ কোভিড নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদেরকে দেয়ার মাধ্যমে। আশা করা হচ্ছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন প্রদানের কর্মসূচি সম্পন্ন হবে। ফাইজারের প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের মূল্য ২০ ডলার এবং মডারনার প্রতি ডোজের দাম ১৫-২০ ডলার হলেও যুক্তরাষ্ট্রে সকলকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বিনামূল্যে। যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের জন্য ইতোমধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও লং টার্ম কেয়ার ফ্যাসিলিটির বাসিন্দারা প্রথমে ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যসেবা কাজে নিয়োজিত আছেন ২০ মিলিয়ন এবয় লং টার্ম কেয়ার ফ্যাসিলিটিজগুলোতে বাসিন্দার সংখ্যা ৩ মিলিয়ন। জানুয়ারির মধ্যেই তাদের সাথে যারা বিভিন্ন জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদেরও ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হবে। ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিসে নিয়োজিত লোকজন, যাদের সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন। মার্চ মাসে পাবেন সিনিয়র সিটিজেনরা, যাদের বয়স ৬৫ বছরের উর্ধে। এ ধরনের জনসংখ্যা ৫৩ মিলিয়ন। সাধারণ জনগণকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে এপ্রিলের মধ্যে।
Posted ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh