বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
করোনা ভাইরাস মহামারী চলকালে নিউইয়র্ক সিটি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়া লোকের সাখ্যা লক্ষ লক্ষ। আবার সমপরিমাণ লোক অন্য স্থান থেকে সিটিতে এসেছে। কিন্তু নিউইয়র্ক সিটি থেকে এমর ৭০ হাজার লোক অন্যত্র চলে গেছে, ফলে সিটির আয় ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার। Unacast (https://www.unacast.com/covid19/covid-19-migration-patterns-and-emerging-areas,) নামে একটি সংস্থা অনলাইন জরিপ চালিয়ে এ হিসাব দিয়েছে। গত ১ জানুয়ারী থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত জরিপ ফলাফলে জানা গেছে। মাইগ্রেশন প্যাটার্ন ও ইমার্জিং এরিয়ার উপর সংস্থাটি জরিপ পরিচালনা করে ও বিশ্লেষণ করে থাকে। Unacast এর মতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারী থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটি ছেড়ে গেছে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার লোক এবং একই সময়ে সিটিতে এসেছে ৩৫ লাখ লোক।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে লোকজনের আগমণ ও চলে যাওয়ার কারণে অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়ে না, বরং স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু গত এক বছরে চলে যাওয়া লোকদের মধ্যে ৭০,০০০ হাজার উচ্চ আয়ের লোক সিটি ত্যাগ করায় ৩৪ বিলিয়ন আয় ঘাটতির কারণ সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইবেকা নামে ডাউনটাউন ম্যানহাটানের অভিজাত একটি এলাকা লোকজন চলে গেছে, যাদের বার্ষিক গড় আয় ১৪০,০০০ ডলার। তারা চলে যাওয়ার পর সেই এলাকায় যারা এসেছে তাদের বার্ষিক গড় আয় ৮২,০০০ ডলার।Unacast এর প্রধান নির্বাহী ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টমাস ওয়ালে বলেন, লোকদের চলে যাওয়ার ঘটনা এমন নয় যে এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আলোচনার বিষয়ের সৃষ্টি হতে পারে। এটি প্রতিবছরের স্বাভাবিক ঘটনা এবং অনেক সময় তাদের চলে যাওয়া সাধারণভাবে চোখেও পড়ে না। বড় ব্যাপার হলো, কোন শ্রেনির মানুষ চলে গেলে কী প্রভাব সৃষ্টি হয়।
প্যানডেমিকের কারণে এবার বিষয়টি বেশি চোখে পড়েছে। এবার বড় আয়ের লোকদের স্থানান্তরিত হওয়া দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে রিয়েল এষ্টেট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংকট কাটিয়ে উঠদে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। ষ্ট্রিটইজি’ নামে এক সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী থেকে জুলাই মাসের মধ্যে বহু বাড়ি শূন্য হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়ি ভাড়াও বেশ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু এরপর আবারও ভাড়া বৃদ্ধি পেথে থাকে, বিশেষ করে এফোর্ডেবল হাউজিং এলাকাগুলোতে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, রিয়েল এষ্টেট ডেভেলপাররা স্বল্প মূল্যের বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজন অনুভব করবে।
Posted ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh