ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা যে কত ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ আমরা প্রতিনিয়তই পাচ্ছি। তবে, বর্তমান সময়ের প্রচণ্ড দাবদাহ ও বন্যা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি হেলা করলে পরিণতি এমনই হবে, বরং আরও ভয়াবহ হবে। বিশ্বের অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশকে বিপর্যস্ত কপ্রবে দ্রুতলয়ে। কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং ব্রাজিল প্রথম কাতারের দেশ কারণে জলবায়ু দূষণ অতিমাত্রায় ঘটছে। ইন্ধন বা এনার্জি হিসেবে কয়লার প্রতুল ব্যবহারের কারণে চীনসহ এসব দেশ বায়ু দূষণে অমার্জনীয় ভূমিকা রেখেই চলেছে। শিল্পায়িত উন্নত আয়ের অধিকাংশ দেশও কমবেশি ভূমিকা রাখছে। আমাদের উপগ্রহের জন্য আ সবচেয়ে বড়ো সমস্যা এবং জীবন-মরণ চ্যালেঞ্জ।
খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় । বলাবাহুল্য, এখানে ও জলবায়ু পরিবর্তন কাজ করে। আবার, যুদ্ধ-বিগ্রহ খাদ্য-শস্য বণ্টন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রায় সময়েই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অতি সাম্প্রতিক উদাহরণ আমাদের সামনে আছে।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক এবং জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে যে ‘ব্ল্যাক সি’ সমঝোতা করা হয়েছিল গত বছরের ২২ জুলাই তারিখে তা রাশিয়া নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে একতরফা ভাবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী বিশ্বের গম, ভুট্টা এবং বার্লি মার্কেটের যথাক্রমে ১০%, ১৫% ও ১৩% নিয়ন্ত্রণ করে। সানফ্লাওয়ার খাবার তেলের গ্লোবাল প্লেয়ার ও ইউক্রেন। বিশ্বের প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মানুষ এসবের জন্য ইউক্রেনের উপর নির্ভরশীল। আফগানিস্থান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান, এবং ইয়েমেনের মতো দেশ তো প্রায় পুরোপুরি। কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করে যে রপ্তানি বাণিজ্য তা বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেন এবং রাশিয়া যৌথভাবে যে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন লোকের খাদ্যশস্যের যোগান দেয় তা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে, বিশ্বের একটি বিরাট সংখ্যার মানুষ খ্যাদ্যাভাবে দুর্ভিক্ষ অবস্থায় নিপতিত হবে।
অশান্ত অবস্থায় নিমজ্জিত পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল, দেশ, জনপদ ও জনগোষ্ঠী বর্তমান সময়ে যুদ্ধাবস্থায় আছে। মধ্যপ্রাচ্য জ্বলছে দীর্ঘদিন যাবত। প্যালেস্টাইন ও গাঁজা অঞ্চলে অশান্তি শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুই পরাশক্তি, ইরান, সিরিয়া, ইসরায়েল দস্তুরমত দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ করে যাচ্ছে। পারস্য উপসাগরে প্রায় নিত্যই যুদ্ধের মহড়া। মধ্যপ্রাচ্য সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নিত্য চলছে।
কঙ্গো, সুদান , মালী, সোমালিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নাইজার ডেলটা, মিশর, ইতিওপিয়ার গৃহ যুদ্ধ, সীমান্ত বিরোধ সমাপ্ত অদৌ হবে কিনা কেউ বলতে পারে ফ্রেঞ্চ- আইভরিয়ান ধাক্কাধাক্কি লেগেই আছে । বুশ লড়াই, উপজাতি যুদ্ধ নাইেজরিয়ায় সম্প্রদায়গত সংঘর্ষ, এক কথায় এক সময়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশতিতে অশান্তি লেগেই আছে। দুই পরাশক্তি, ইউকে, ফ্রান্স ইত্তোকার দেশ দেদারছে সমরাস্ত্র বিক্রি করতে পারছে। এ বাণিজ্যের সাথে আধিপত্যবাদ যুক্ত হয়ে আমাদের এই উপগ্রহ বিধ্বস্ত অবস্থায় নিপতিত।
Posted ৩:৪১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh