নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
নীলফামারী জেলা এসোসিয়েশন অব নিউইয়র্কের জমজমাট বনভোজন গত ৩০ জুলাই লং আইল্যান্ডের সানকিন মিডোস স্টেট পার্কে আয়োজন করা হয়। সুন্দর আবহাওয়ার কারণে বনভোজন হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত এক মিলনমেলা। ছিল আন্তরিকতা পূর্ণ, স্মৃতিময়। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে শুরু হয় দিনটি। প্রাতঃরাশের সাথে সাথে পেনসিলভেনিয়া, ফিলাডেলফিয়া, বেনসালেম ও আপস্টেটসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন বরোতে বসবাসরত নীলফামারীবাসী একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করতে থাকেন। প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো, শিশুদের খেলাধুলা, নারী ও পুরুষদের খেলা এবং পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান হয়ে ওঠে বনভোজনের মুখ্য অংশ।
রঙবেরঙের বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে বনভোজনের শুভ উদ্বোধনী ঘোষণা করেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান, নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের রিটায়ার্ড পরিচালক নূর হোসেন সরকার, নীলফামারী জেলা এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান কবির ডাবলু, সেক্রেটারি ও বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক মো. রোকানুজ্জামান রোকন, বনভোজন কমিটির সেক্রেটারি ঋষিকেশ রায়, তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম স্বপন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল হক। এছাড়াও সহযোগিতায় ছিলেন, রাসেল, রহিম, রহমান, রোমান, বিপুল, সুরুজ, দেলোয়ার, কৈলাশ এবং পেনসিলভেনিয়া থেকে আগত মঈনুল চৌধুরী বাবু ও খতিব উদ্দিন সরকারসহ আরো অনেকে।
উদ্বোধন ও শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানান সংগঠনের সভাপতি হাসান কবীর ডাবলু। উদ্বোধনের পরে সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়। বনভোজন কমিটির সভাপতি রোকন ও সেক্রেটারি ঋষির তত্ত্বাবধানে সমিতির সদস্যরা সব প্রস্তুতি নেন। খাবারের তত্ত্বাবধান ও বিনোদনের সুবিধা সম্পর্কে যত্নশীল ছিলেন সমিতির সদস্যরা। খাবারের মেন্যুতে ছিল পোলাও, সাদাভাত, রোস্ট, খাসির রেজালা, রুইমাছের দো-পিঁয়াজু, আচারি বেগুন, ডাল, সবজি, সালাদ ও বাড়ির তৈরি শুটকি ভর্তা ও বোরহানি।
ডবপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে পিকনিকের পরিবেশ ছিল আনন্দময় ও জাঁকজমকপূর্ণ।
খাবারের শেষে রসগোল্লা ও কালোজামের স্বাদ ছিল প্রাণজুড়ানো ও সেইসাথে ছিল পান-সুপারি।
বনভোজনে ভাওয়াইয়া ও বাংলা গানের আবহে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ সবার জন্য নানা খেলাধুলা চলতে থাকে। মহিলাদের হাড়িভাঙা ও পুরুষদের গোলে বল শট খেলা মিলনমেলার আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
চিপস, ফলমূল, তরমুজ, ক্যান্ডি আর বাচ্চাদের জন্য বাবল গাম ছিলো আনন্দের উৎস। চা আর ঝালমুড়ির সাথে শিল্পীদের মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশনায় বনভোজন হয়ে উঠেছিল আনন্দময় ও প্রাণবন্ত।
কমিউনিটির পরিচিত মুখ, এলডারলি হোমকেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী গিয়াস আহমেদ, বারী হোমকেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী আসিফ বারী টুটুল ও মুনমুন বারী টুটুল, ফুমা ইনোভেটিবের চেয়ারম্যান ফাহাদ সোলায়মান এবং মাক্স হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান কামাল উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
শেষ অংশে র্যাফেল ড্রতে ছিলো আকর্ষণীয় পুরস্কারের ছড়াছড়ি। স্বর্ণের চেইন প্রথম পুরস্কার, পঞ্চান্ন ইঞ্চি ফ্ল্যাট টিভি দ্বিতীয় পুরস্কারসহ আরোও ১৮টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
নীলফামারী জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক মো. রোকনের বিবাহবার্ষিকী হওয়ায় সমিতির পক্ষ থেকে তাদের এবং কমিউনিটিতে উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নীলফামারীর আরেক সন্তান ফাহাদ সোলায়মানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
পরিশেষে বনভোজন কমিটির সভাপতি আগামী বছর আরো সুন্দর আয়োজনের অঙ্গীকার ও বনভোজনে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Posted ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh