বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ইমিগ্রান্টদের এসালাইম আবেদন সীমিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগকে আটকে দিয়েছে ওকল্যান্ডের এক ফেডারেল বিচারক। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় নিয়োগপ্রাপ্ত ফেডারেল বিচারক জন এস, টিগারের দেওয়া আদেশ দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে না। সেজন্য বাইডেন প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে ফেডারেল বিচারকের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইউএস নাইনথ সার্কিট কোর্ট অফ আপিলস এ রাষ্ট্রের পক্ষে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সার্কিট কোর্টের রায় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে না গেলে তারা ইউএস সুপ্রীম কোর্টে আপিল করতে পারবে।
বাইডেন প্রশাসনের ঘোষিত নীতিতে যেসব ইমিগ্রান্ট যুক্তরাষ্ট্রে পৌছার আগে অন্য আরেকটি দেশ হয়ে আসেন, তাাদেরকে প্রথমে নিরাপত্তার জন্য সেই দেশে এসাইলাম আবেদন করতে হবে। প্রশাসন আশা করছে যে, এতে যুক্তরাষ্ট্রে এসাইলাম প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয় যে, বিদেশিদের সীমান্ত অতিক্রম হ্রাস করতে এ উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। সীমান্ত অতিক্রম করা মাত্রই এসাইলাম আবেদন করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হলে বিদেশিদের সীমান্ত অতিক্রম বৃদ্ধি পাবে এবং রাষ্ট্রের সম্পদের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি হবে, যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
আদালতে আরো বলা হয় যে নতুন নীতি গ্রহণের ফলে গত জুন মাসে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম এর আগের দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল। সরকারি কর্মকর্তারা দক্ষিণ সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্টে আগমণেচ্ছু ইমিগ্রান্টদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার পরিবর্তে কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশন অ্যাপের মাধ্যমে কোনো পোর্ট অফ এন্ট্রি বা যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের যে প্রবেশ পথ দিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবেন, সেখানে সাক্ষাতের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে উৎসাহিত করছেন। এছাড়া আরো ঘোষণা করা হয়েছে যে, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, হাইতি ও নিকারাগুয়া থেকে আগতদের জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের আর্থিক সহায়তা অর্থ্যাৎ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাদের ভরণপোষণ, আবাসন ও চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করার মত কোনো স্পন্সর থাকে এবং তারা সিকিউরিটি স্ক্রিনিং এ উত্তীর্ণ হন, তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য আবেদন করতে পারেন।
বিচারক এস টিগার এর আগে ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের ইমিগ্রেশন বিষয়ক অনুরূপ একটি নীতির কার্যকারিতা আটকে দিয়েছিলেন। সুপ্রীম কোর্ট পরে আদেশটির ওপর স্থিতাবস্থা দেয়। ইমিগ্রান্ট অধিকার প্রবক্তারা বাইডেন প্রশাসনের এসাইলাম সীমিতকরণ উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন যে, এটি ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতিতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
উল্লেখ্য, বাইডেনের এসাইলাম সীমিতকরণ নীতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিল আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ইমিগ্রান্ট জাস্টিস সেন্টার ও ইউসি হেস্টিংস সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড রিফিউজি স্টাডিজ।
মামলার আরজিতে বলা হয় যে, ‘এসাইলাম ব্যবস্থাকে সংস্কার করার প্রতিশ্রুতির পক্ষে প্রচারণার চালানোর পর বাইডেন প্রশাসন এসাইলাম নিয়ন্ত্রণে তার পূর্বসূরীর চেয়ে দ্বিগুণ কঠোরতা অবলম্বন করেছেন। এসাইলাম আবেদন করা একটি আইনগত অধিকার, আবেদনকারী কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তা বিবেচ্য নয়।’ অপরদিকে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে অবৈধ ইমিগ্রেশনকে নিরুৎসাহিত করা এবং এসাইলাম আবেদন করার বিকল্প উপায় গ্রহণে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে।
Posted ১২:৩১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh