বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
টাকা আছে কিন্তু খরচ করতে চান না, সবকিছু করেন খুব হিসেব করে। এমন মানুষ আমাদের আশেপাশে অনেক আছে। তাই বলে কোটিপতি হয়েও যদি এমনটি করেন তাহলে কি মেনে নেওয়া সম্ভব। হ্যা এমন লোকও রয়েছেন পৃথিবীতে। ধনসম্পত্তির নিরিখে পাল্লা দিতে পারেন অনেক কোটিপতিকে। কিন্তু ওইটুকুই। জীবনযাপন নিয়ে তিনি কারও সঙ্গে পাল্লা দিতে রাজি নন তিনি। নিজেই ঘোষণা করেছেন যে, বিশ্বের সব থেকে কৃপণ উদ্যোক্তা তিনি। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে নতুন কিছু কেনেন না। টাকা বাঁচাতে বিড়ালের খাবারও খেয়ে নেন।
সিনেমা নয়, বাস্তবেই রয়েছেন এমন শিল্পপতি। নাম এইমি এলিজাবেথ। এইমির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তারপরও তিনি বিলাসী জীবন পছন্দ করেন না। গুনে গুনে খরচ করেন টাকা। এইমির বয়স ৫০। আমেরিকার লাস ভেগাসে থাকেন তিনি। মাসে সংসার চালানোর জন্য নিজের জন্য বরাদ্দ করেছেন এক হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ টাকা। তার থেকে এক টাকাও বেশি খরচ করেন না এইমি। দরকার পড়লেও নয়।
খরচ বাঁচানোর জন্য নানা কৌশল রয়েছে এইমির। বিদ্যুত সাশ্রয় করেন তিনি। যত ঠান্ডাই পড়ুক, পানি গরম করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের বেশি হিটার চালান না। দিনে মাত্র ২২ মিনিট চালান হিটার। এক সাক্ষাৎকারে এইমি বলেন, ‘এমনিতে সারা দিন আমি হিটার বন্ধ রাখি। গোসলের জন্য ২২ মিনিট চালালেই চলে। তাই রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে পানির হিটার চালাই। ২২ মিনিট সময় সেট করে দিই, যাতে এক টাকাও নষ্ট না হয়।’
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে এইমির। তার পর থেকে সাবেক স্বামী মিশেলের দেওয়া বাড়িতেই থাকেন তিনি। বাড়ি পরিষ্কার করে দিয়ে যান মিশেল নিজেই। তাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার খরচও বেঁচে যায়।
কেন সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে এসে সব পরিষ্কার করে দিয়ে যান মিশেল? এইমি জানিয়েছেন, এর ফলে মিশেলের শরীরচর্চা হয়ে যায়। তিনি রোগা থাকতে পারেন।
টাকা বাঁচাতে এইমি পোষ্য বিড়ালের খাবারও খেয়ে নেন। বিড়ালের জন্য আনা ক্যানবন্দি টুনা বা চিকেনের ঝোল বানিয়ে খেয়ে নেন। কারণ বিড়ালের জন্য যে ক্যানবন্দি টুনা বা চিকেন পাওয়া যায়, তা ৩০ সেন্ট সস্তা।
শুধু নিজে নন, বাড়িতে অতিথি এলে তাদেরও এই খাবারই দেন এইমি। তার কথায়, ‘লোকজন এ সব জানলে রেগে যাবে। তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। টাকা বাঁচলেই হল।’
কেন এ ভাবে টাকা বাঁচান এইমি? জবাব দিয়েছেন নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, ছোট থেকে দারিদ্র দেখেছেন। কষ্টে মানুষ হয়েছেন। কৈশোরেই আশ্রয়হীন হয়েছেন। তাই আজ এক টাকাও বেশি খরচ করেন না।
প্রথম জীবনে ঘরে রাখার গাছের ব্যবসা শুরু করেন এইমি। পাশাপাশি লোকজনের পোষ্যের দেখভালের কাজ করতেন তিনি। সে জন্য পারিশ্রমিক নিতেন। সেই টাকা জমিয়েই ১৯৯১-৯২ সালে একটি নাইটক্লাব কেনেন তিনি। একটি ফ্যাশন শোয়েরও মালিকানা ছিল তাঁর নামে।
২০০১ সালে সব ব্যবসা বিক্রি করে দেন এইমি। বিনিয়োগ করেন রিয়েল এস্টেটে। সেখান থেকেও অবসর নিয়েছেন। এখন রিয়েল এস্টেট এবং কোন ব্যবসায় কতটা বিনিয়োগ করবেন, অর্থের বিনিময়ে সেই পরামর্শ দেন। বইও লেখেন।সূত্র: আনন্দবাজার
Posted ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh