বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ০২ মে ২০২১
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) অনেকখানি পেছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগারের অনেক বেশি আসন নিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মেয়ের কাছেই রইল বাংলা। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ১৪৮টি আসনের। তবে তৃণমূল ইতিমধ্যে ২১০টিরও বেশি আসন পেয়েছে। নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিজেপি।
পশ্চিম বাংলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দফায় দফায় জনসভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ অনেকে। ভাঙা পায়ে কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারের বিরুদ্ধে একাই লড়েছেন মমতা। হ্যাটট্রিক জয়ের মাধ্যমে আজ মধুর ফল পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। নিজের ঘর ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের ‘ঘরের ছেলে’ শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তার পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। যদিও নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটে হেরেছেন মমতা।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে ইতিহাস গড়েছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। সেই মমতা সাম্রাজ্যের পতন ঘটাতে এবার একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসে পশ্চিম বাংলায় প্রচার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৮টি সভা করে গিয়েছেন। কিন্তু মমতার জনপ্রিয়তাকে টলাতে পারেননি শাহ-নাড্ডা-স্মৃতি ইরানিরা। ভাঙা পা নিয়েই মিটিং-মিছিল, জনসভা চালিয়ে গিয়েছেন মমতা। ১০ বছর পরও বিধানসভা ভোটে তিনিই ফ্যাক্টর, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেল।
মমতাকে মোদির অভিনন্দন : বিজেপিকে অনেকখানি পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগারের অনেক বেশি আসন নিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে বিজয়ী হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অভিনন্দন বার্তায় মোদি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির জয়ের জন্য মমতা দিদিকে অভিনন্দন। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং করোনা মহামারীকে কাটিয়ে উঠতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কেন্দ্র।’
নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। নিজের গড় ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের ‘ঘরের ছেলে’শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। যদিও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে গেছেন মমতা।
Posted ৬:০৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh