রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ | ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

মরিচামুক্ত ক্ষুরধার বিবেক

জাফর আহমাদ :   |   বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫

মরিচামুক্ত ক্ষুরধার বিবেক

‘তাক্ওয়ার শান ’দিতে এসেছিলো রমাদান। মরিচা পরা বা অসুস্থ হয়ে পরা মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য প্রতিবছরই এভাবে রমাদান আসে। আশা করি, রমযানের প্রথম থেকেই ক্রমাগত নিজের বিকেকে মরিচামুক্ত করেছেন। তাকওয়ার চুড়ান্ত শান দেয়ার জন্য ঘনিয়ে আসে মহাকল্যাণের মহিমান্বিত এক রাত লাইলাতুল কদর। সুস্থ বিবেক মানেই তাকওয়া। যে তাক্ওয়া মানবতার সকল কল্যাণ ও মর্যাদার প্রতীক। তাক্ওয়ার উপর ভিত্তি করেই নিরূপিত হয় মানুষের মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তাকওয়ার উপর নির্ভরশীল।

সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য তাকওয়ার বিকল্প নেই। তাকওয়াহীন ব্যক্তি সে যেই হোন না কেন, তাকে সম্মানিত ব্যক্তি বলা যাবেনা। যদিও পৃথিবীর মানুষগুলো বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছে, কিন্তু তাকওয়ার কাছে তাএ কান্তই মূল্যহীন। বংশ, ভাষা, বর্ণ ও দেশ এগুলো আল্ল­াহরই সৃষ্টি, তাই বলে এগুলো মর্যাদার মানদন্ড নয়।

বরং এগুলো আল্ল­াহ দিয়েছেন যাতে মানুষ পরস্পরকে চিনতে পারে। আল্ল­াহতা’আলা বলেন: “হে মানব জাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। নিশ্চয়ই আল্ল­­াহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, তোমাদের মধ্যে যে আল্ল­­াহকে সবচেয়ে বেশী ভয় করে। নিঃসন্দেহে আল্ল­­াহ সবকিছু জানেন ও খবর রাখেন।” (আল হুজরাত-১৩) অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশী মুত্তাকী তিনিই সবচেয়ে বেশী সম্মানিত ও মর্যাদাবান।

পৃথিবীর অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ন্যায় মুসলমানগণও যেদিন থেকে তাকওয়াকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মানুষের মর্যাদা দিতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে তাদের কপালও পুড়তে শুরু করেছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া‘ বুনিয়ানুম মারসুস’‘সুদৃঢ় প্রাচীর’এর ফাটল বা ভাঙনও সেখান থেকেই শুরু হয়েছে।

বিজাতীয়দের ন্যায় মুসলমানদের মধ্যেও আজ খান্দান, গোত্র ও গোষ্ঠীগত বিভেদের পাহাড় পরিলক্ষিত হয়। আর এরই ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যেও অহংকার, ঘৃণা, তাচ্ছিল্য, বিদ্বেষ ও অবমাননা এবং জুলুম ও নির্যাতন দানা বেধে উঠেছে। অথচ এটি ছিল ইহুদী-খ্রীষ্টান ও পৌত্তলিকদের চরিত্র। জাতীয়তার ভিত্তিতে ইহুদীরা মনে করেছে তারাই আল্ল­াহর মনোনীত সৃষ্টি। এজন্য পৃথিবীর সকল অইসরাঈলীরা অধিকার ও মর্যাদার দিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের। পক্ষান্তরে খ্রীষ্টানেরা বলেছে ঈশা আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্ল­াহ), সুতরাং তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। হিন্দু জাতি পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী থেকে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠতর মনে করা ছাড়াও নিজেদের মধ্যেও অসংখ্য কঠিন ভেদনীতি চালু করে রেখেছে। তারা বর্ণাশ্রমের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং শুদ্রদের লাঞ্ছনার গভীর খাদে নিক্ষেপ করেছে। তাদের ঘরে অন্য ধর্মের কেউ ঢুকে পড়লে সেটিকে ধুয়ে-মুছে পবিত্র করে থাকে। এরাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদার গণতন্ত্র ও কট্রর সমাজ নীতি শ্রেণী সংগ্রামের আগুন জ্বালিয়েছে, সাদা-কালো বর্ণ বাদ নীতি অসংখ্য বনি আদমের রক্ত ঝড়িয়েছে, আদিবাসী-অআদিবাসীর উচ্ছেদের সংগ্রাম তো চলছেই।

আমাদের ভালো করে মনে রাখা প্রয়োজন, খান্দান, বংশ, গোত্র ও গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তা এগুলো অহংকারেরও হোতা। আরও মনে রাখা প্রয়োজন, পৃথিবীর সর্বপ্রথম যে গুনাহের খাতায় নাম লিখিয়েছিল সে হলো, শয়তান এবং প্রথম যে গুনাহটি আল্ল­াহর হুকুমকে মানতে অবাধ্য করেছিল সেটি হলো অহংকার। আর অহংকার সৃষ্টি হয়েছিল জন্মগত শেষ্ঠত্বকে ভর করে। সুরা বাকারায় আল্লাহতা’আলা বলেনঃ“আমি ফিরিশতাদেরকে বলেছিলাম ঃ আদমকে সেজদা কর।

সকলেই সেজদা করলো। কেবল ইবলিশ করলো না। সে অস্বীকার ও অহংকার করলো। সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।”অন্যত্র বলা হয়েছে ঃ সে বললো, আমি আগুনের তৈরী আর আদম মাটির তৈরী। অর্থাৎ তার মধ্যে বর্ণবাদের অহংকার ও বিদ্বেষ দানা বেঁধে উঠেছিল। ফলে সে-ই পৃথিবীর প্রথম নিকৃষ্ট কীট, যে আল্ল­াহর আদেশকে অমান্য করলো এবং তাঁর লানত নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে বেঁচে থাকতে হবে।
কিন্তু ইসলাম এসব নীতিকে কখনোই সমর্থন করেনা। মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বুনিয়াদ হলো, তাকওয়া। জন্মগতভাবে সকল মানুষ সমান। কেননা তাদের মুলউৎস এক।

একমাত্র পুরুষ এবং একমাত্র নারী থেকে গোটা জাতি অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা এক, তাদের সৃষ্টির উপাদান ও নিয়ম-পদ্ধতি এক এবং তাদের সবার বংশধারা একই পিতামাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। সুতরাং মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুকনা কেন সেটি দেখার বিষয় নয়। বরং যে মুল জিনিসের ভিত্তিতে একজন অপরজনের ওপর মর্যাদা লাভ করতে পারেতা হচ্ছে এই যে, সে অন্য সবার তুলনায় অধিক আল্ল­াহ ভীরু, মন্দ ও অকল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী এবং নেকী ও পবিত্রতার পথ অনুগমনকারী। রাসুল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় কা’বা তাওয়াফের পর বক্তৃতা করেছিলেন তাতে তিনি বলেন ঃ “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্ল­াহর যিনি তোমাদের থেকে জাহিলিয়াতের দোষ-ত্রুটি ও অহংকার দূর করে দিয়েছেন। হে লোকেরা! সমস্ত মানুষ দু-ভাগে বিভক্ত। এক, নেকআমলদার ও পরহেযগার-যারা আল্ল­াহর দৃষ্টিতে মর্যাদার অধিকারী। দুই, পাপী ও দুরাচার যারা আল্ল­াহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট। অন্যথায় সমস্ত মানুষই আদমের সন্তান। আর আদম মাটির সৃষ্টি।” (তিরমিযি) অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছেঃ“আল্ল­াহতা’আলা তোমাদের চেহারা-আকৃতিও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন।” (মুসলিম, ইবনে মাযাহ)

ইসলাম সাম্য-সংহতির অনুপম শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রে নয়, বরং মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় জীবনসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাস্তবায়ন করেছে। আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর আগে রাসুল স: কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদীনা নামক ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করুন। রাসুল সা: এমন এক সমাজ কায়েম করেছিলেন, যেখানে বর্ণ, বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার কোন ভেদাভেদ ছিলনা, যেখানে উচ্চ নীচ, ছুত-ছাত এবং বিভেদ ও পক্ষপাতিত্বের অস্তিত্ব ছিলনা। সে সমাজ ব্যবস্থায় হযরত বেলাল রা: এবং হযরত ওমর রা: এর মধ্যে যেমন কোন পার্থক্য ছিলনা, তেমনি আলী রা: ও আনাস-যায়েদ ইবনে সাবেত রা: মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলনা। থাকলেও সেটি তাকওয়ার ভিত্তিতেই নিরূপিত হতো। একবার হযরত ওমর রা: বেলাল রা:’কে ধমক দিয়ে কথা বললে রাসুল সা: অসন্তুষ্ট হন এবং বললেন, ওমর হে! তোমার কি এখনো বংশীয় গৌরব রয়েছে ? ওমর রা: লজ্জিত হলেন। তিনি নিজের সকল আভিজাত্যের অহংবোধকে ধ্বংস করে দেন। মানবিক সাম্য ও ঐক্য সে সমাজকে এমনি ফুলেফলে সুশোভিত করেছিল, যা পৃথিবীর আর কোন ধর্ম বাব্যবস্থায় সামান্যতমও পরিলক্ষিত হয়না। এ ভাবটিই কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যে এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেনঃ
“সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শুন এক মিলনের বাঁশি।
এক জনে দিলে ব্যথা
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের অসম্মান নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান।”——-(কুলি-মজুর, সাম্যবাদী, নজরুল রচনাবলী)

প্রকৃত পক্ষে আমরা মুত্তাকী হতে পারছি না বিধায় ইহুদী-খ্রীষ্টানদের ন্যায় বিকল্প পথে মর্যাদার সন্ধান করে ফিরছি। আর এজন্য আমরাও বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছি। এ নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যেই আমাদের সামজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। এ নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে নিয়ে যেতে পারছি না বিধায় উন্নয়নের বাঁধাগুলোও টপকানো আমাদের জন্য দুস্কর হয়েছে। ফলে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ইহুদী- খ্রীষ্টানদের আজ্ঞাবহ সাজতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ তাকওয়ার মত মানবীয় উন্নতর গুণের অধিকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের ভান্ডার সংরক্ষিত রয়েছে বলে আল কুরআনে উল্লে­খ রয়েছে। সত্যিই মুসলিম দেশসমুহের ভৌগলিক ও কৌশলগত অবস্থান অধিকতর এমন উত্তম স্থানে রয়েছে যে, প্রতিটি মুসলিম দেশের মাটির নিচে আল্ল­াহ তা’আলা অফুরন্ত নিয়ামতের ভান্ডার মজুত করে রেখেছেন। আমাদের গোলামী ও পরাজিত মানসিকতার কারনে আল্ল­াহ দান করছেন না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের বর্তমান মুসলিম দেশসমুহের সরকার প্রধানগণ আল্ল­াহর ভয়ের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী-খ্রীষ্টানগোষ্ঠীকেই বেশী ভয় করেন। এজন্যই আল্ল­াহ তা’আলা বলেনঃ “লোকালয়ের মানুষগুলো যদি ঈমান আনতো ও তাক্ওয়া বা ভয় করতো তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল।

সুতরাং তাদের কর্মকান্ডের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম।” (সুরা আরাফ-৯৬)
তাকওয়া এমন একটা শক্তি, এমন একটা গুণ, যার উপর ভিত্তি করে মানুষ হক ও বাতিল, ভুল ও সঠিক, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। যিনি শুধুমাত্র আল্ল­াহর ভয়ে সেটিকেই সত্য হিসেবে মেনে নেন যা তিনি নাযিল করেছেন। তিনি সেটিকেই সঠিক মনে করেন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। যে কাজ বা প্রথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরো অসংখ্য ক্ষতির সৃষ্টি করে, যে সকল কাজে আল্ল­াহ অসন্তুষ্ট হন, সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। এ ধরণের ক্ষতিকর কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা খুবই জরুরী। আত্মরক্ষার জন্য আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দরকার বাস্তব ট্রেনিং। পুরো রমাদানে আমাদেরকে সেই বাস্তব ট্রেনিংই দিয়ে থাকে। রমাদানের সিয়াম একমাস জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আমাদেরকে মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করে।

আত্মার নিয়ন্ত্রণকে চুড়ান্তরূপ দেয়ার জন্য কদরের রাত, যা হাজার হাজার হাজার মাসের রাত ধেকে অধিক মহিমানন্বিত ও কল্যাণ ময়। মনে রাখতে হবে, তাকওয়ার গুণ সম্পন্ন মর্যাদাশীল জনগোষ্টি নিয়ে যে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, সেটিই হবে আল-কুরআনের সমাজ, ইসলামী সমাজ ও আল্ল­­াহর পছন্দের সমাজ। এ সমাজের প্রতিটি লোক ব্যক্তিগতভাবে আল্ল­াহর কাছে সম্মানিত হবেন। দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়নের ফল্গুধারা প্রবলবেগে প্রবাহিত হবে। দেশ উন্নত হবে। দেশ সম্মানিত হবে।

 

Posted ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রমজান ও জাকাত
রমজান ও জাকাত

(795 বার পঠিত)

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.