মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকায় সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। কিন্তু এখনো সংক্রমণের প্রচন্ড ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের হার কমেছে রয়েছে তরুণ সম্প্রদায়। বর্তমানে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি বলে গত মঙ্গলবার তথ্য প্রকাশ করেছে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি। গত রোববার ও সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেস কমিউনিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক মৃতের হার ৬৬০ এর সামান্য বেশি। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মৃতের হার ছিল দৈনিক গড়ে ৩ হাজার চারশ’র বেশি।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি বলেছে যে গত সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গড়ে ৪৯,৪০০, কিন্তু জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের হার ছিল ২ লাখ ৫১ হাজারের বেশি। মহামারী শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে এটি ছিল একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের ঘটনা। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্টেটের কর্মকর্তারা এখন বয়স্কদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক ও তরুণদের প্রতি অধিক মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ এখ নপর্যন্ত ন্যূনতম ৬৫ বছর ও তদুর্ধ বয়সের আমেরিকানদের ৮৩ শতাংশ কমপক্ষে এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবংতাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ লোক দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন করেছেন। এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ডীন ডা: আশিষ জাহা এ প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার সিএনএন কে বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে। এখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ সম্প্রদায়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। কারণ এখন তরুণদের মধ্যে আক্রান্তের হার অধিক। যেহেতু এতদিন তাদেরকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছিল। তাদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন ডা: জাহা।
সিডিসির ডাইরেক্টর ডা: রসেল ওয়ালেনস্কি গত মাসে এক সতর্কবাণীতে বলেছিলেন, সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রাপ্তবয়স্ক ও তরুণরা অধিক সংখ্যায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। মিশিগানে গত মাসে যে সংখ্যক তরুণ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তা গত একবছরের মধ্যে যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। ওরিগনের গভর্নর কেটি ব্রাউন গত সপ্তাহে বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে করোনা আক্রান্তের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই অধিক। তিনি তরুণদের নিজ দায়িত্বে ভ্যাকসিন নেয়ার অনুরোধ জানান। ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়ার গভর্নর জিম জাষ্টিস গত সপ্তাহে ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন নেয়ার আগ্রহ সৃষ্টির জন্য তাদের মধ্যে ১০০ ডলারের সেভিংস বন্ড বন্টনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আমাদেরকে যদি মানুষের বাড়ির দ্বারে দ্বারে যেতে হয় তাহলে আমরা প্রতিটি দুয়ারে যেতে প্রস্তুত। যে কোনভাবে আমাদের ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন করতে হবে।
Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh