নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১
বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি ও কর্মকর্তাবৃন্দ
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে অধিক বাংলাদেশী অধ্যুষিত নগরী নিউইয়র্ক ছাড়াও অন্যান্য স্টেটে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে দিবসটি। জর্জিয়া, নিউজার্সি, নিউ হ্যামশায়ার এবং নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামান্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত রেজ্যুলেশন, ঘোষণাপত্র এবং প্রক্লেশেনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানানো হলো গত ২৬ মার্চ সম্মিলিত এক ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে।
জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেট জেনারেল ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশীরা সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করে। যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটান্স’, স্যাফেস্ট, বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ফ্রন্ট, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সসহ ১২টি সংগঠনের সম্মিলিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ। সঞ্চালনা করেন ডেমক্র্যাট ফাহাদ সোলায়মান এবং খ্যাতনামা উপস্থাপক ফাতেমা সাহাব রুমা।
যুবদল আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে নেতৃবৃন্দ
বহ্নিশিখা সংগীত নিকেতনের প্রধান সবিতা দাস, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা উইলি নন্দির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের পর বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত একটি গান পরিবেশিত হয়। এছাড়া ছোট্টমণি ফাসির কবীর কাব্য কর্তৃক শামসুর রাহমানের বিখ্যাত একটি কবিতা আবৃত্তি ও স্বাধীনতা দিবসের আলোকে নৃত্য পরিবেশনের পর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, ফোবানার চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, স্যাফেস্ট’র প্রধান নির্বাহী মাজেদা এ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, কুইন্স এ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৮ এর ডেমক্র্যাট-লিডার মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
টাইমস স্কোয়ারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আব্দুর রহিম বাদশা
নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্টের ৫ এ্যাসেম্বলিম্যান জেনিফার রাজকুমার, আলিসিয়া হাইন্ডম্যান, ক্যাটালিনা ক্রুজ, ডেভিড ওয়েপ্রিন ও ক্যারিনা রীইজ এবং দুই সিনেটর জেসিকা র্যামোজ ও এনা ক্যাপলেন নিজ নিজ বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশংসা করে বলেন, এমন নিষ্ঠাবান ও মেধাবি মানুষের কারণেই নিউইয়র্ক তথা আমেরিকা আজ গোটাবিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এমন মানুষদের জন্মভূমির ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ আর কৌতুহলের সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করি না। এ ধরনের মতামত/মন্তব্য পোষণ করেই তারা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সকলকে অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, এসব সিনেটর আর এ্যাসেম্বলীম্যানের নেতৃত্বেই নিউইয়র্ক পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে দুটি রেজ্যুলেশন পাশ হয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিউজার্সি, নিউ হ্যামশায়ার স্টেট, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জর্জিয়া স্টেট পার্লামেন্ট সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে হাঁটছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাসাসরে উদ্যোগে স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে
নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্টের রেজুলেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে আসছে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ পালনকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় এবং বলা হয়, এই স্টেটের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরাও এই উদযাপনে গৌরববোধ করছি।
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে নেতৃবৃন্দ
টাইমস স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনর্
টাইমস স্কয়ারে বর্ণিল আয়োজনে ২৬ মার্চ উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ দিবসটি গভীর ভালোবাসায় দিবসটি উদযাপন করে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং মেম্বার সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম মিলনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বকারী সাইদুর রহমান লিংকন, অনুষ্ঠান উদযাপন উপ কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাসিম হাসনু, প্রধান সমন্বকারী কাওছারুজ্জামান কয়েস, সদস্য সচিব মাকসুদা আহমেদ, সমন্বকারী মইজুর রহমান জুয়েল, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ডা. শাহানারা আলী, জাহানারা বেগম লক্ষী, মনোয়ারা বেগম মনি, ফেরদৌসী বেগম বিউটি, হৃদয়ে বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা মামুন রহমান, সাধারণ সম্পাদক পল্লব সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান জামান রানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শারমিন রহমান তানিয়া, দপ্তর সম্পদক মার্গারেট মল্লিক প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। টাইম স্কয়ারে রং-বেরংয়ের ফেস্টুন নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিদেশীরাও যোগ দেন এ আয়োজনে।
বাপা আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা
বাংলাদেশ দূতাবাস
ওয়াশিংটন : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মণ্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপ-সহকারী সচিব আরভিন মাসিংগাকে সংগে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি দূতাবাসে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রর জাতীয় সংগীত বাজানোর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। এরপরে রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান করেন।
ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান
রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা প্রকাশ করেন। তিনি সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগে প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান। অপরাহ্ণে দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ৫০তম জাতীয় দিবসে শুভেচছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন “একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আমরা একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য।” এর আগে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা প্রেরণ করেছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন বলেন যে দশ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন যে সংকটটির স্থায়ী সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে থাকবে ।
জাপা আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
বাংলাদেশ কনস্যুলেট
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে গত ২৬ মার্চ উদযাপিত হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শুরুতে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয় এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে কেক কাটা হয় এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে কনস্যুলেট বিশিষ্ট মার্কিন রাজনীতিবিদ, নিউইয়র্কে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কনসাল জেনারেল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু এবং কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন। নিউইয়র্ক রাজ্যের সিনেটর জন ল্যু ভিডিও বার্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশী-আমেরিকান অধ্যুষিত কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঋৎরবহফং ড়ভ খরনবৎধঃরড়হ ডধৎ ঐড়হড়ৎ প্রাপ্ত প্রখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লেয়ার লেভিনও ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। নিউইয়র্ক এবং পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
শো-টাইম মিউজিক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয় অনুষ্ঠান
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট’র স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন
নিউইয়র্ক : গত ২৮ শে মার্চ রোববার ২০২১ উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ইউএসএ এর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি শাহ্ শহীদুল হক সাঈদের সভাপতিত্বে এবং আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জয় এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট জনাব ডনাভেন রিচার্ড, বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন নিউইয়র্ক স্টেট ডিস্ট্রিক-৩৮ এর এ্যাসেম্বলীওমেন জেনিফার রাজকুমার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ফেন্ডশীপ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট গোলাম মেহরাজ, আমেরিকান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং ইমিগ্রান্ট এলডার হোম কেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ, জ্যামাইকা ফেন্ডশীপ সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি, জ্যাকসন হাইট্স মোহাম্মদী সেন্টারের ইমাম কাজী কাইয়ূম, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি জনাব শাহাদাত হোসেন, মূলধারার রাজনীতিবিদ ফাহাদ সোলায়ামান, টাইম টেলিভিশনের সিইও জনাব আবু তাহের, সাপ্তাহিক আজকালের বার্তা সম্পাদক মোঃ সিদ্দিক, বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব নর্থ আমেরিকার কর্ণধার মেসবাহ্ আবেদীন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাদির ,ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট এর প্রাক্তন জেনারেল সেক্রেটারী আকতার হোসেন।
সভার শুরুতে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে যেসকল বীর শহীদগণ শাহাদাৎ বরণ করেছেন এবং ৯/১১ এর যারা সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে সভার আহ্বায়ক জনাব জাহাঙ্গীর আলম জয় তার বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্য করে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন।
জুরী বোর্ডের সদস্য গিয়াস আহমেদ- ইমিগ্রান্ট এলডার হোম কেয়ারের সিইও, শাহ নেওয়াজ-কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার, কাজী কাইয়ূম-ইমাম জ্যাকসন হাইট্স মোহাম্মদী সেন্টার, ফাহাদ সোলায়মান: মূলধারার রাজনীতিবিদ, শামসুন শেখ: কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কভিড-১৯ যোদ্ধা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানস্বরূপ ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স এ্যাম্বেসেডর এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পদকপ্রাপ্তরা হলেন যথাক্রমে: ডাঃ বর্ণালী হাসান, ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন, এবিএম ওসমান গণি, মেজবা আবেদীন, আবু তাহের, মোঃ সিদ্দিক এবং আশরাফুল করিম।
বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর সময়ে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে অপু উকিল-বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যারিষ্টার ফারহানা : বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, রূপা আহমেদ: চেয়ারম্যান, নারী উদ্যোক্তা, শহীদুল্লাহ্ বাগমার প্রান্তিক: টিভি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
প্রধান অতিথি ডনভার রিচার্ড তিনি বলেন কুইন্স বরো বর্তমানে সারা বিশ্বে দুইশত জাতির বল্ললে মুখরিত। আমরা গণতন্ত্রের সমাধিকার এবং মানবাধিকারে বিশ্বাসী। ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্টের এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং গর্ববোধ করছি। আমি ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট শাহ্ শহীদুল হক এবং তার সংগঠনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ কভিড-১৯ এ যে ধরনের মানবকল্যাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন সেজন্য তাদেরকে আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমেরিকা গণতন্ত্রের দেশ, এখানে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ যে সকল জনগণ শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি এই সভায় আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
এ্যাসেম্বলীওমেন জেনিফার রাজকুমার বলেন আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ ডে পালন করার জন্য আইন প্রণায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা বাংলাদেশের ইতিহাস সমস্ত বিশ্ব অতি শ্রদ্ধার সাথে পালন করবে। আমি ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্টের এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি সদা সর্বদা বাংলাদেশীদের যেকোন মহৎ উদ্যোগে একাত্বতা প্রকাশ করছি।
সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদকে স্টেট সিনেটরের প্রক্লেমেশন প্রদান
ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম : নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সম্মিলিত সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদকে স্টেট সিনেটরের পক্ষ থেকে প্রক্লেমেশন প্রদান করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় বাংলাদেশ ম্যুরালের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভেদা এ প্রক্লেমেশন হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সম্মিলিত সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের সম্মিলিত স্বপক্ষ শক্তি ইউএসএ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক পল্লব সরকারের পরিচালনায় এ আয়োজনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সম্মিলিত সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বকারী সাইদুর রহমান লিংকন। বক্তব্য রাখেন মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, উদযাপন পরিষদের মেম্বার সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম মিলন, অনুষ্ঠান উদযাপন উপ পরিষদের সদস্য সচিব সালেহ আহমেদ, সমন্বকারী মইজুর রহমান জুয়েল, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রবি-উজ-জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ নাসির, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মাকসুদা আহমেদ, রুহেল চৌধুরী, সুব্রত তালুকদার, শ্যামল চন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত সিনেটর লুইস সিপুলভেদা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও এসেম্বলি হাউসে বাংলাদেশ ডে উদযাপন এবং তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেন। তার বক্তব্যে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আব্দুর রব হাওলাদার। শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধু সহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় সিনেটর লুইস সিপুলভেদাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কোর্ট পিন পরিয়ে দেন আব্দুর রহিম বাদশা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কোর্ট পিন পরিয়ে দেন সাইদুর রহমান লিংকন এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন মাকসুদা আহমেদ। আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী সহ কমিউনিটি নের্তৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ডের উদ্যোগে গত ২৬ মার্চ উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় বাংলাদেশ ম্যুরালের সামনে এদিন সন্ধ্যায় নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং পৃষ্টপোষক মিয়া মো. দাউদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৃষ্টপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা।
হৃদয়ে বাংলাদেশ’র সভাপতি সাইদুর রহমান লিংকন মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ ও দপ্তর সম্পদক মার্গারেট মল্লিক মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে সম্মাননা জানান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পৃষ্টপোষক মুক্তিযোদ্ধা মো. লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবু কায়সার চিশতি, উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী বশির উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা নূর কাশেম গোলাপ, সহ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র নাথ গোপ, কার্যকরী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাসেম, মুক্তিযোদ্ধা এম এ নাসির, মঈনুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী। পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন রতন চক্রবর্তী। দোওয়া-মোনাজাতে দেশ, প্রবাস ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করা হয়। কমিউনিটির নের্তৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অভিহিত করে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। এজন্য পুরো জাতি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধারা যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই প্রত্যাশা আজো পূরণ হয়নি। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচিত হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যা অবদান তাকে সেই সম্মান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রণয়ণের আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন
নিউইয়র্ক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক নগরীর কুইন্সে স্থানীয় একটি হলরুমে প্রায় ২০০ বাংগালী পুলিশ অফিসারদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) এমন আয়োজন ছিল সত্যি অসাধারণ। বাংলাদশের জাতীয় সংগীত দিয়ে এপর্ব শুরু হয়। এরপর বাপার প্রায় ২০০ সদস্য নিজেদের পরিচিত পর্ব ও চাকরির অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন ডিটেকটিভ মাসুদ রহমান ও লেফটেন্যান্ট প্রিন্স আলম এবং সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী।
সাবেক নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা এবং ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট এরিক অ্যাডামস মহান স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অথিতি হিসেবে বক্তব্যকালে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে গৌরবের একটি মুহূর্ত। আমি সত্যি গর্বিত যে বাপার এমন চমৎকার অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। এরিক আরও বলেন, দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশি- আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন আরও বড় হচ্ছে। আমি অবশ্যই বলব কমিউনিটির স্বার্থে বাপায় যেন বাকি সব বাংলাদেশি-মার্কিন পুলিশ অফিসার ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। বক্তব্য শেষে এরিক অ্যাডামসকে বাপার পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাপার প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী বলেন, আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আজ যাদের আত্মত্যাগে এই ভাষা পেয়েছি তাদের তাজা রক্তের লেখা ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। আশা করি বাপা বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি নিজ দেশের ভাষা, সংস্কৃতিও তুলে ধরবে। বাপার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রথম বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হক বলেন, বাংলাদেশ কিছু ভালো করলে আমরাও গর্ব করি। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সংবাদগুলো পড়লে বুঝা যায়। শামসুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে জিডিপি, নারীরা নিরক্ষরতা এমনকি গড় আয়ুতেও ছাড়িয়ে গেছে।তাই এমন একটি দিনের সাক্ষী হতে পেরেও নিজেকে ধন্য মনে করছি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন -বাপার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সার্জেট এরশাদ সিদ্দিকী, ট্রেজারার ও পুলিশ অফিসার রাশেক মালিক, ইভেন্ট কো অর্ডিনেটর ও পুলিশ অফিসার সরদার আল মামুন, মিডিয়া লিয়াজো ও ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার, কো- ট্রেজারার মেহেদী মামুন অক্সিলিয়ারি লেফটেন্যান্ট সৈয়দ এনায়েত আলী, সার্জেন্ট (আর্মস) ও পুলিশ অফিসার মাহবুবুর জুয়েল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- বাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রাফিক সুপারভাইজার মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি ও সার্জেন্ট কবির হোসাইন, লেফটেন্যান্ট মিলাদ খান, ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার ও লেফটেন্যান্ট মামুন, পুলিশ অফিসার পলাশ, ট্রাফিক সুপারভাইজার আলী চৌধুরী, পাপিয়া সারওয়ার, সোনিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সুবর্ণজয়ন্তী ও সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ৪ জন সার্জেন্ট, একজন লেফটেন্যান্ট এবং নিউইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হকের পদোন্নতি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এছাড়া প্রথম বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার হিসেবে বাপার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও লেফটেন্যান্ট সুমন সাঈদ অবসর উপলক্ষে কেক কেটে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
Posted ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh