ক্রীড়া ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
ঢাকা ক্রিকেটের প্রথম বাঁ হাতি স্পিনার রামচাঁদ গোয়ালা। এই জাতীয় ক্রিকেটার আর নেই। ৭৯ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গত ১৯ জুন ভোরে ময়মনসিংহ শহরে নিজ বাড়িতে ইহলোক ত্যাগ করেন দেশবরেণ্য এই ক্রিকেটার। নব্বই দশকের মাঝামাঝি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন রামচাঁদ গোয়ালা। আশির দশকের একদম শুরু থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় আবাহনীতে খেলেছেন। সত্তর দশকে ক্রিকেটের অনেক ম্যাচই হতো ম্যাটিং উইকেটে। নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি সে উইকেটে ছিল মূলত পেসারদের দাপট। এর ভেতরেও টাউন ক্লাবের এক লম্বা বাঁ হাতি স্পিনার নিজেকে মেলে ধরেন। স্পিন জাদুতে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানকেও বশ করেন ১৯৪১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে জন্ম নেয়া রামচাঁদ গোয়ালা। গোয়ালা ৫৩ বছর বয়সেও খেলেছেন ঢাকা লিগে। এ সময় জাতীয় দলেও খেলেছেন। খেলার জন্য বিয়েটাও করেননি।
আবাহনীর হয়েই খেলেছেন ১৫ বছর।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩, চার মৌসুম গোয়ালাকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সাবেক এ ক্রিকেটার রামচাঁদ গোয়ালার প্রতিভা নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই সময়ে খেললে গোয়ালাই হতেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। কোন জায়গায় বল ফেলবেÑ সেটা সে আগেই বলে দিত। সে অনুযায়ীই ফিল্ডার রাখতেন। ঠিক সেখানেই যেত। তার বয়স যখন চল্লিশ পেরিয়েছে, তখনো ইডেন পশ্চিমবঙ্গের বিপক্ষে কী দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। তিনি বিস্ময়কর এক প্রতিভা। ফিটনেসের কারণে পঞ্চাশ পেরিয়েও খেলেছিল। ফিট থাকলে যে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেলে যায়, এ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে তারচেয়ে বড় উদাহরণ আর হতে পারে না।’
এক সময় জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন এ বাঁ হাতি স্পিনার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে খেলেন গোয়ালা। এক যুগের বেশি সময় খেলার কারণে আবাহনীর সাথে তার বন্ধন তৈরি হয়ে যায়।
খেলা ছেড়ে দেয়ার পর ফিরে যান নিজ শহর ময়মনসিংহে। যত দিন শরীর সুস্থ ছিল, তত দিন ক্রিকেটই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজেও ছিলেন মনোযোগী। তবে বার্ধক্য চলে আসায় গত কয়েক বছর সেভাবে আর মাঠে যাওয়া হয়নি। নিয়মিত কয়েক প্রকার ওষুধ সেবনই ছিল তার নিত্যদিনের রুটিন।
Posted ২:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh