বাংলাদেশ রিপোর্ট : | শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩
ফাইল ছবি
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস সিটির বিভিন্ন এলাকায় সাইডওয়াকের ওপর নির্মিত নির্মাণ কোম্পানিগুলোর মাচা বা ‘স্ক্যাফোল্ড’ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ধরনের সবুজ রঙের ধাতব বাক্স অপসারণ করে সাইডওয়াকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো সূর্যালোক প্রতিরোধ করে এবং সাইডওয়াককে ঢেকে রাখে বলে পথচারিরা মাচা স্থাপন করে রাখা সাইডওয়াকের পাশের দোকানগুলোতে যায় না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি হয়। তাছাড়া সাইডওয়াকের ওপর এ ধরনের আবরণ বা বেষ্টনি থাকলে স্থানগুলো অবৈধ কর্মকান্ডের স্থানে পরিণত হয়।
এক অপর-এড নিবন্ধে সিটি মেয়র বলেন, সাইডওয়াকের ওপর নির্মাণ কোম্পানিগুলোর মাচার কারণে নিউইয়র্কাররা তাদের নগরীর সৌন্দর্য, নান্দনিক স্থাপত্যকৌশল সম্পর্কে বিস্মৃত হতে চলেছে। এগুলো স্থাপন করা হয়েছে অনিরাপদ ভবন থেকে নিউইয়র্কারদের রক্ষা করতে এবং নতুন ভবন নির্মাণের সুবিধার জন্য। কিন্তু দিনদিন নির্মাতাদের এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, সিটির বিদ্যমান বিধিতে নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সাইডওয়াক থেকে মাচা অপসারণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কাজ শেষের এই মাচা বা স্ক্যাফোল্ড দীর্ঘকাল পর্যন্ত সাইডওয়াকের ওপর রয়ে যায় এবং বিস্ময়ের ব্যাপার যে কোনো কোনো স্থানে এমন মাচাও রয়েছে যেখানে নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে এক দশকের বেশি সময় আগে।
এর কারণ হলো, যখন কোনো নির্মাণ বা সংস্কার কাজ থাকে না, কিন্তু মাচা অপসারণ করা হয় না, সম্পত্তি মালিক বা নির্মাণ কোম্পানিগুলোকে এজন্য কোনো জরিমানা দিতে হয় না। ফলে নিউইয়র্ক সিটিজুড়ে প্রায় ৪০০ মাইল সরকারি জায়গার ওপর এ ধরনের মাচা বা অন্য ধরনের ছাউনি রয়েছে। আমরা সিটিকে আর এ কংকালের মতো অবয়বে দেখতে চাই না। সেজন্য আমরা আমাদের “গেট শেডস ডাউন” পরিকল্পনার আলোকে নির্মাণ ছাউনির বিধি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে সাইডওয়াকে স্থাপিত স্ক্যাফোল্ড নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপসারণ করা হয় এবং জরিমানা দিতে হয় না বলে বছরের পর বছর ধরে সেগুলো সাইডওয়াকের ওপর থাকতে না পারে। এই লক্ষে আমরা সিটিজুড়ে নজরদারি বৃদ্ধি করছি।
কারণ খোলা স্থানগুলোর মালিক নিউইয়র্কাররা, কেউ যদি তা দখল করে নিজের কাজে ব্যবহার করে তাহলে সেজন্য তাদেরকে মাশুল দিতে হবে। আমরা প্রথম দিকে ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে আমাদের বিধি কার্যকর করবো। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, বিধি পরিবর্তনের কারণে ক্ষুদ্র সম্পত্তি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, যারা এখনো করোনা মহামারীর ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছেন। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো নিউইয়র্কারদের নিরাপত্তা।
Posted ৭:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh