| শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ রিপোর্ট: মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি (এমটিএ) যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে এক শ্রেনির মানুষের সাবওয়ের ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রোধ করার জন্য নানা উপায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এখনো স্পষ্ট নয় যে শেষ পর্যন্ত এমটিএ’র কোন উপায়টি অসাধু ব্যক্তিদের ভাড়া না দিয়ে সাবওয়ে ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হবে। বহু লোককে, বিশেষ করে তরুণ বয়সীদের দেখা যায়, সাবওয়ে স্টেশনে টার্নস্টাইল বা ফেয়ার গেটে মেট্টো কার্ড না ঘষে বা সোয়াইপ না গেটের ওপর দিয়ে লাফ দিয়ে পার হচ্ছে। এনওয়াইপিডি’র সাবওয়ে পুলিশের দৃষ্টিতে যদি ধরা পড়ে বা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় যদি তাৎক্ষণিক দেখতে পায়, তাহলে পাকড়াও করে। বিনা ভাড়ায় সাবওয়ে ব্যবহারের কারণে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ৫০ থেকে ১০০ ডলারের টিকেট দেয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ টিকেট দেয় না। বিনা টিকেটের ভ্রমণকারীকে বুঝিয়ে ছেড়ে দেয়।
ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভারে সিটির বেশকিছু সাবওয়ে স্টেশনে নতুন ফেয়ার গেট স্থাপন করেছে। কিন্তু এতে যাত্রীরা নতুন বাধার সম্মুখীণ হয়ে বিরক্তি বোধ করছে। ট্রানজিট কর্মকর্তারা সাবওয়ে সিস্টেমের সবচেয়ে বিপজ্জনক দুটি সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর কাজ করেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না। এর একটি হচ্ছে: ট্রেনের ধাক্কায় অথবা ট্রেন স্টেশনে পৌছার ঠিক আগের মুহূর্তে চলন্ত ট্রেনের সামনে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ট্র্যাকে ফেলে দেওয়ার কারণে প্রতি বছর কয়েক ডজন যাত্রী নিহত হয়। দ্বিতীয়ত ভাড়া না দিয়ে সাবওয়ে ব্যবহারের কারণে এমটিএ বহু মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীণ হয়। এর সমাধান খুঁজে পাওয়ার সর্বশেষ যে উদ্যোগ নিয়েছে সাবওয়ে ব্যবহারকারীরা তাতে অসন্তুষ্ট।
কুইন্সের সাটফিন বুলেভার্ড-আর্চার এভিনিউ স্টেশনে ট্রানজিট ক্রুরা এতদিন যাবত পরিচিত টার্নস্টাইল বা ভাড়ার গেটে মেট্টো কার্ড ঘষে ভেতরে প্রবেশ করছিল এবং এতে তারা স্বচ্ছন্দ ছিল। কিন্তু সেগুলোকে উজ্জ্বল সবুজ ভাড়ার গেট দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এতে যে প্যানেল রয়েছে, সেগুলো কার্ড নির্দিষ্ট স্থানে ঢোকানোর পর প্যানেলের দুটি অংশ দুটিকে সরে যায় এবং যাত্রীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু যারা ভাড়া না দিয়ে সাবওয়ে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, তারা ইতোমধ্যে আবিস্কার আবিষ্কার করেছে যে এই গেটগুলোর উপর দিয়ে তাদের লাফ দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।। প্যানেলের নিচ দিয়ে একসাথে দু’জন লোকের প্রবেশ করার মত জায়গা রয়েছে। ম্যানহাটনের ১ নং লাইনের ১৯১ তম স্ট্রীট স্টেশনে, এ মাসের শুরুতে প্ল্যাটফর্মগুলিতে ছিদ্রযুক্ত ধাতু দিয়ে তৈরি কোমর-উচ্চ বেষ্টনি দেওয়া হয়েছিল, যাতে আরোহীরা ট্র্যাকের কাছে পৌঁছাতে না পারে বা কেউ তাদের ধাক্কা দিয়ে ট্র্যাকে ফেলে দিতে না পারে। এটি হয়তো ফলপ্রসু হবে। এর সমালোচনাও রয়েছে। ১৯১ তম স্ট্রীট স্টেশনের কাছে কাজ করেন একজন শিক্ষক রেবেকা মাদ্রিগাল (৫০) তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন “অহৈতুক অর্থের অপচয়। সাবওয়ে যাত্রীরা সচেতন। এভাবে অর্থের অপচয় না করে অন্য কোনো সার্ভিসে ব্যয় করা উচিত যাতে জনগণ সিটির কাছ থেকে আরো উন্নত সেবা পায়।
Posted ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh