বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০২৩
একটি অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফাইল ছবি : রয়টার্স
প্রথমবারের মত ফিলিস্তিনের জন্য একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে সৌদি আরব। যাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। ১২ আগস্ট (শনিবার) ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেন, তারা এটিকে তাদের প্রতি সৌদি আরবের অটুট সমর্থন হিসেবেই দেখছেন। যদিও সৌদি আরব একে ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করছে। ফিলিস্তিনিদের কারণে ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সম্প্রতি একটি ঐতিহাসিক ‘মিডল ইস্ট’ চুক্তি সই হয়েছে। যে চুক্তিতে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথাও উল্লেখ আছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরি সম্পর্কে শনিবার ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এর খবরে বলা হয়, জর্ডানে একটি অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি একজন অনাবাসিক দূত হিসেবে রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরির পরিচয়পত্রের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন।
আল-খালিদির বরাত দিয়ে ওয়াফা নিউজ জানায়, এই পদক্ষেপটি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা শক্তিশালী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে’ এবং ‘দুই দেশ এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে আবদ্ধ করবে’।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক তালাল ওকাল বলেন, এই কূটনৈতিক নিয়োগ অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি সরকারী সৌদি প্রতিনিধিত্ব অফিসের দিকে অর্ধেক পথ এগিয়ে যাওয়া।
এটাকে ‘একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাতে সৌদি আরব যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ এবং এটি তাদের সেই প্রতিশ্রুতির উপর অটল থাকার বার্তা বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষক।
কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল ও দুই পারস্য উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। যেটি ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ নামে পরিচিত। সৌদি আরব নিরবে ওই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেছিলেন, আব্বাসের পশ্চিমা-সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের সম্ভাব্য স্বাভাবিককরণ নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে তারা সৌদি আরবের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশা করছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খোদ ইসরায়েল, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। বলেছেন, এজন্য এখনো বেশ খানিকটা পথ চলা বাকি আছে। বিশেষ করে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বাড়তে থাকা নৃশংসতা এবং সৌদি আরবের বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার মত কিছু বিষয়ে বিভেদ দূর হওয়া এখনো বাকি।
ফিলিস্তিনিরা উদ্বিগ্ন যে কোনও চুক্তি বিস্তৃত আরব বিশ্বের তাদের প্রতি সমর্থনকে দুর্বল করে দিতে এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন তারা দেখছে তাকে ফিকে করে দিতে পারে।
Posted ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh