বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০
জো বাইডেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প? কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পরও তা রয়ে গেছে অনিশ্চিত। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাকর, আলোচিত ও ব্যয়বহুল এ নির্বাচন নিয়ে জনগণ উৎকণ্ঠিত। ইলেকটোরাল কলেজ গ্যাড়াকলে আটকে গেছে ফলাফল। ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮টির মধ্যে যিনি ২৭০ টি ভোট পাবেন তাঁর জন্যই খুলে যাবে হোয়াইট হাউজের দ্বার। ভোট গণনা চলছে ব্যাটেলগ্রাউণ্ড রাজ্যগুলোতে। বাইডেন ও ট্রাম্প দু’জনই শূন্যে ঝুলছেন। ৫০টি ষ্টেটের মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে ৪৪টি ষ্টেটের ফলাফল। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৩টি স্টেটে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পেয়েছেন ২১৪টি। পক্ষান্তরে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশটি স্টেটে পেয়েছেন ২৫৩টি ইলেকটোরাল ভোট। এখনো গণনা চূড়ান্ত হয়নি ব্যাটেলগ্রাউণ্ড ৬টি স্টেটের ভোট। এসব স্টেটের ৭১টি ভোট নিয়ে যুদ্ধ চলছে। জয়লাভের জন্য বাইডেনের প্রয়োজন আরো ১৭টি ভোট। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ব্যাটেলগ্রাউণ্ড রাজ্যগুলোর আর মাত্র দুটি ষ্টেটে ইলোকটোরাল ভোট পেলেই বাইডেন হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকদের মতে তিনি এখন হোয়াইট হাউজের পথে হাঁটছেন।
বাইডেনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে ট্রাম্প শিবির ইতোমধ্যেই ৩টি রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধের মামলা দায়ের করেছেন। অ্যারিজোনায় ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে ট্রাম্প সমর্থকরা ব্যাপক সমাবেশ করে ভোট গণনা বন্ধ করার চাপ সৃষ্টি করে। ফলে নির্ধারিত সময়ে অ্যারোজিনোয় ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জিততে হলে ট্রাম্পকে আরো ৫৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। ব্যাটেল গ্রাউণ্ড স্টেটগুলোর মধ্যে বাইডেন এগিয়ে আছেন অ্যারিজোনা, নেভেদা স্টেটে। আর এসব স্টেটে ভোট রয়েছে ১৭টি। এছাড়া জর্জিয়ায় ট্রাম্পের সাথে বাইডেনের ভোটের ব্যবধান কমে এসেছে। এই রাজ্যেও বাইডেনের বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ মুহূর্তে শুধুমাত্র অ্যারিজোনা ও নেভেদা স্টেটের ভোট বাইডেনের পক্ষে গেলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। বাইডেন শিবিরসহ নির্বাচন বিষয়ক বিশেষজ্ঞগণ এ বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভেনিয়ায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এ তিনটি স্টেটে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫১টি। ট্রাম্প শুধুমাত্র এ তিনটি স্টেটে জয়ী হলেও তার পুননির্বাচিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, যদি না তিনি বাইডেনের এগিয়ে থাকা স্টেটগুলো কোন একটিতে জয়লাভ না করতে পারেন। বিভিন্ন স্টেটে ভোট গণনার ক্ষেত্রে পৃথক নিয়ম থাকায় চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। জো বাইডেন তার সমর্থক ও দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্রাম্প অবলম্বও করেছেন ভিন্ন কৌশল। তিনি চাতুর্যের সাথে নিজের বিজয়ের বিষয় নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের শরণাপন্ন হওয়ার।
নানা কারণেই এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আমেরিকানরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের কারণে এখনো বিপর্যস্ততা কাটেনি তাদের। দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ১০ কোটি ভোটার আগাম ভোটে অংশ নেন। জো বাইডেন এ পর্যন্ত গণনাকৃত ভোটের ৫০.২ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৭ কোটির উপর ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট অর্থ্যাৎ ৬ কোটি ৭২ লাখ ভোট পেয়েছেন। পপুলার ভোটে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লক্ষাধিক ভোটে এখনো এগিয়ে আছেন।
ঐক্যের ডাক দিলেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। জনগণকে পেছনের সব ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। ভোটগ্রহণ শেষে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে দেওয়া বক্তব্যে বাইডেন এই আহ্বান জানান। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে এক সভায় বাইডেন বলেন, ‘এখন সময় তাই করা, যা আমেরিকান হিসেবে আমরা সব সময় করে এসেছি—প্রচারণার সময়ে কড়া বক্তব্য পেছনে ফেলে, উত্তেজনা কমিয়ে ফেলা। একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করে অন্যজনের প্রতি মনোযোগী হওয়া। একে অন্যের কথা শোনা এবং একে অন্যের প্রতি যত্নবান হওয়া ও সম্মান দেওয়া। আর জাতি হিসেবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাইডেনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয় ২৬৪। আর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট। আমেরিকার মূল শক্তি তাদের জনগণ। জনগণ যা চায় তাই হয় বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘এখানে জনগণ শাসন করে। ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া কিংবা জাহির করা যায় না। এটি জনগণের কাছ থেকেই আসে। জনগণের ইচ্ছাই নির্ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে তাঁর দল জয়ী হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এক রাতের পর এটি পরিষ্কার যে, ২৭০ ভোট পেতে এখন পর্যন্ত আমরা অনেক অঙ্গরাজ্য জয় করেছি। এটি পরিষ্কার যে, আমরা জয়ের পথে আছি।’ বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার ইতিহাসে এবারই প্রথম এত মানুষ ভোট দিয়েছে। আমি মনে করি এটি বিস্ময়কর! এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমেরিকার সরকার জনগণ কর্তৃক, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য নির্বাচিত সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমি এখানে বিজয় ঘোষণা করতে আসিনি। কিন্তু বলতে এসেছি, ভোট গণনা শেষ হলে আমার বিশ্বাস আমরাই জিতব।’ ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার খুব কাছাকাছি জো বাইডেন। ভোট গণনা চলাকালীন দেওয়া ওই বক্তব্যে বাইডেন বলেন, যারা তাঁকে ভোট দিয়েছেন শুধু তাদেরই নয়, তিনি জিতলে সবার নেতা হবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ডেমোক্র্যাট হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু আমি নির্বাচিত হলে একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ পরিচালনা করব।’
হোয়াইট হাউজের সামনে বাইডেন সমর্থকদের নাচ-গান
ভোটগণনা চলছে। আসছে হার-জিতের খবর। আর হোয়াইট হাউজের সামনে ভিড় করেছেন কয়েক’শ মানুষ। গান, নাচ, ব্যানারসহ উৎসব চলছে। তারা বেশির ভাগই বাইডেনের সমর্থক। ট্রাম্পের অনুগামীরাও আছেন, তবে সংখ্যায় কম। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়ে নাচে-গানে উৎসবে মেতেছেন তারা। বাইডেনের সমর্থকরা বলছেন, এটা হলো ‘গোয়িং অ্যাওয়ে পার্টি’ বা ট্রাম্পের বিদায় অনুষ্ঠান। তাই মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে কেউ বলছেন, ‘উই ওয়ান্ট হিম গন’। ব্যানার লেগে গেছে, ‘রিমুভ ট্রাম্প’। বাইডেন সমর্থকদের বিশ্বাস, তাদের নেতা এ বার প্রেসিডেন্ট হবেন। কিছুদিন আগেই এই জায়গা ছিল ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস-এর বিক্ষোভকারীদের দখলে। তবে তখন ছিল প্রতিবাদ। এখন আশায় বুক বেঁধে উৎসব। মাঝে মধ্যে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে বাইডেন ভক্তরা যে সামনা-সামনি হননি এমন নয়। তবে এ দিন পরিবেশ শান্ত এবং উৎসবের।
ট্রাম্পের অল্প কিছু সমর্থক আশায় বুক বেঁধে আছেন, তাদের নেতার জয়ের উৎসব করবেন বলে। তাদের আশা, প্রাথমিক ফল যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই জিতবেন। তাদের উৎসব পালন দীর্ঘ হবে। পরাজিত প্রার্থীর অনুগামীরা মনে বেদনা নিয়ে সরে যাবেন। ৩০ বছর বয়সী গোল্ডিং ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন,‘ট্রাম্প যে দিন জিতেছিলেন, সে দিন মন খারাপ নিয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। ঠিক করেছি, যাই হোক মানুষের মাঝখানে থাকব।’ ২৮ বছর বয়সী শাফ্রিটজ বলেছেন,‘আমি তো উৎসব পালন করতে চাই। তাই এসেছি।’ পুলিশও প্রচুর মোতায়েন করা আছে। হোয়াইট হাউসের চারপাশ ঘিরে লাগানো হয়েছে অস্থায়ী নিরাপত্তা বেড়া। নিরাপত্তা কর্মীরা সতর্ক। কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত মোকাবিলা করার জন্য তৈরি তারা।
ট্রাম্পের বক্তব্য আপত্তিকর : বাইডেন শিবির : ভোটের রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নিজের বিজয় দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, একই সাথে বিলম্বিত ভোট গণনা থামাতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তার এমন ভাষণকে ‘আপত্তিকর, নজিরবিহীন ও ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাইডেন শিবির। জো বাইডেনের প্রচার ম্যানেজার জেন ও’মালি এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া ট্রাম্পের ওই ভাষণের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যথাযথভাবে ভোট দেয়া ব্যালটের গণনা বন্ধ করার চেষ্টার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যটি ছিল আপত্তিকর, নজিরবিহীন ও ভুল। এটি বিদ্বেষজনক। কেননা এটি ছিল মার্কিন নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের এক নগ্ন প্রচেষ্টা।’
ট্রাম্প নির্বাচনের পর দেরিতে আসা ভোটকে অবৈধ বলে দাবি করে আসছেন। দৃশ্যত এসব ভোটের বেশির ভাগই ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের পাঠানো পোস্টাল ভোট। ফলে ডেমোক্র্যাটদের ভোট পৌঁছাতে দেরি হলে ট্রাম্পেরই লাভ। মূলত এ জন্যই তিনি বিলম্বে আসা ভোটকে অবৈধ বলে দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের এমন অবস্থানের জবাবে জেন ও’মালি জোর দিয়ে বলেন, ‘ভোট গণনা থামবে না।’ সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে এসব ভোট বাতিলের যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।এ দিকে ভোটের রাতে ডেলাওয়ারের উইলমিংটন শহরে সমর্থকদের সামনে এসে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, নির্বাচনে তিনি জয়ের পথেই আছেন বলে তার বিশ্বাস। ‘আমরা জানতাম, আমাদের অপেক্ষা দীর্ঘ হবে, আমরা জানতাম, হয়তো আমাদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে, কিংবা তারও বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের যা অবস্থান, সেটি সন্তোষজনক। এই নির্বাচনে আমরা জয়ের পথেই আছি।’ সব ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।
ফ্লোরিডায় খুঁটি ধরে রাখলেন ট্রাম্প
ফ্লোরিডায় প্রায় সব ভোট গণনা শেষ। সেখানে লড়াই হয়েছে প্রায় সমানে সমানে। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলী বা ইলেকটররা জানিয়ে দিয়েছেন তারা ওই রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো মি. ট্রাম্পকে দিতে যাচ্ছেন। সেখানে মি. ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১% ভোট আর মি. বাইডেন পেয়েছেন ৪৮% ভোট। এই রাজ্যে ২০১৬ সালে মি. ট্রাম্প যত ভোট পেয়েছিলেন এবার তার থেকে আরও দুই পয়েন্ট বেশি ভোটে বিজয় পেয়েছেন। ২০১৬-তে হিলারি ক্লিন্টন ওই রাজ্যে যা ভোট পেয়েছিলেন, মি. বাইডেন তার থেকে ফল আরও এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। হোয়াইট হাউসে যাবার দৌড়ে জয়ী হবার জন্য ফ্লোরিডায় বিজয় ধরে রাখা মি. ট্রাম্পের জন্য একান্ত জরুরি ছিল। সেটি তিনি পেয়ে গেছেন, যেটা পুনর্নিবাচিত হবার পথে তার সম্ভাবনাকে উজ্জীবিত করেছে। বিবিসির হিসাব বলছে, মি. ট্রাম্প রক্ষণশীলদের আরেকটি শক্ত দুর্গ টেক্সাসেও জয় পেতে চলেছেন। মি. বাইডেনের শিবির সেখানে মি. ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করতে পারবে বলে আশা করছিল। তবে মি. বাইডেন হয়ত অ্যারিজোনায় জয় পেতে পারেন, যেটি প্রথাগতভাবে লাল দুর্গ অর্থাৎ রিপাবলিকান শক্ত ঘাঁটি। াৎ আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে যে অ্যারিজোনা মি. বাইডেনের পক্ষে যেতে পারে। সিবিএস নিউজও (আমেরিকায় বিবিসির পার্টনার স্টেশন) একই ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে চার বছর আগে যে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোয় বিজয় মি. ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে বসিয়েছিল, সেই রাজ্যগুলো -পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিন- কোন দিকে যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই রাজ্যগুলোয় গণনা থেকে মনে হচ্ছে ফল যে কোন দিকে যেতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জিততে হলে পেনসিলভেনিয়ায় জেতা মি. ট্রাম্পের জন্য নিতান্তই জরুরি।
Posted ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh