বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
গ্রিনল্যান্ডের নুউকে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে মার্কিন পতাকা উড়ছে। ছবি : এএফপি
বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উপস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩০টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধের চিন্তাভাবনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি অভ্যন্তরীণ নথির উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রস্তাবিত তালিকায় আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বিভিন্ন দূতাবাস ও কনস্যুলেট রয়েছে। এতে মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লেসোথো, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ সুদানের দূতাবাস এবং ফ্রান্সের পাঁচটি, জার্মানির দুটি, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার দুটি, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি করে কনস্যুলেট অন্তর্ভুক্ত।
নথিতে সোমালিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস এবং অন্যান্য দূতাবাসের আকার পুনর্নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে। এসব পরিবর্তন এসেছে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি উদ্যোগে, যার লক্ষ্য ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানো।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সিএনএনকে বলেন, ‘আমি হোয়াইট হাউজ ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেবো, কারণ বাজেট পরিকল্পনার কাজ চলছে এবং কংগ্রেসে জমা দেওয়ার আগে অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে।’
নথিতে বলা হয়েছে, দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কার্যক্রম পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর কূটনৈতিক মিশন থেকে পরিচালিত হতে পারে। মূল্যায়নের মানদণ্ড হিসেবে কনস্যুলার কাজের চাপ, খরচ, স্থাপনার অবস্থা ও নিরাপত্তা রেটিং বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো কেবল ভিসা ও নাগরিক সেবা নয়, বরং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক প্রভাব এবং চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কৌশলগত অবস্থান ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh