বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। চীনের মধ্যস্ততায় বৈরিতা অবসান ও সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে দুই দেশ সম্মত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এ খবর এলো। বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
২০ মার্চ (সোমবার) এক প্রতিবেদনে টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনীতি বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির কাছে একটি চিঠিতে সৌদি আরবের বাদশাহ দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাদশাহ সালমান প্রেসিডেন্টকে রিয়াদে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাইসি এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন।’ তবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি।
গেল ১০ মার্চ সৌদি আরব এবং ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দেয়। চীনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দুটি ৭ বছর পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে একটি চুক্তি করতে রাজি হয়।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হওয়ার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। সেই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে দু’দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাসও খুলবে। যা পশ্চিম এশিয়ার এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে নতুন আকার দিতে পারে।
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের যে চুক্তি হয়েছে তাকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরাইলি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মারাত্মক আঘাত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ইরাকের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে পাঁচ দফা বৈঠক হলেও তা থেকে সুনির্দিষ্ট ফল বের হয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত চীনের মধ্যস্থতায় হঠাৎ করেই তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়াশিংটনকে পাশ কাটিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী প্রভাব ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালানো আমেরিকার জন্য চপেটাঘাত বলে উল্লেখ করছেন ইরান ও তাদের সমর্থকরা।
Posted ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh