আরও চার বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান। ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে শত্রুতার’ অভিযোগে দেশটির ‘বিপ্লবী’ আদালত বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ১৬ নভেম্বর (বুধবার) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে মাসা আমিনি (২২) নামে একজন তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এসব মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছিলেন। দেশটির ‘বিপ্লবী’ আদালতের বরাত দিয়ে মিজান নিউজ এজেন্সি গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ‘দাঙ্গাকারী’ এই চার ব্যক্তির একজন তার গাড়ির ধাক্কায় এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে একটি ছুরি ও একটি বন্দুক ছিল। তৃতীয় ব্যক্তি সড়ক অবরোধ করে ত্রাস চালান। চতুর্থ ব্যক্তি ছুরি হামলা চালিয়েছিলেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মারা যায় মাসা আমিনি। এর জেরে দেশটিতে বিগত তিন মাস ধরে সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ চলছে। এর আগে দেশটির আদালত একজন বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এই নিয়ে মোট পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচজন বিক্ষোভকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়ছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব দণ্ড ‘অন্যায়’ বিচারের ফল।

নরওয়েভিত্তিক ইরান মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক মাহমুদ আমিরি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিক্ষোভকারীদের কোনো আইনজীবী দেওয়া হয়নি। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয় এবং সেই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি (এইচআরএএনএ) নামে একটি সংগঠন বলছে, ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৩৪৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৯০০ জন।