বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২০ মে ২০২৩
করোনায় বিশ্বজুড়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছে লাখো মানুষ। কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যে ফেলেছে বড় আকারের প্রভাব। যার কারণে অসংখ্য মানুষের আয়ুষ্কাল বা প্রত্যাশিত গড় আয়ু কমে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনার প্রথম দুই বছরের পৃথিবীবাসীর সামষ্টিক আয়ুষ্কাল ৩৩ কোটি ৭০ লাখ বছর কমে গেছে। ১৯ মে (শুক্রবার) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, করোনা মহামারীতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা দুই কোটির কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনায় ৫৪ লাখ মানুষের নিশ্চিত মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করে। তবে সম্ভাব্য মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তারা যে পরিসংখ্যান করে থাকে, তাতে বলা হয়েছে, করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ হতে পারে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত দুই দশকে বিশ্বে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখজনক অগ্রগতি হতে দেখা গিয়েছিল।
মাতৃমৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ এবং শিশুমৃত্যু ৫০ শতাংশ কমেছে। এইচআইভি, যক্ষা ও ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলোতে আক্রান্তের হারও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিশ্বের মানুষের গড় আয়ু ৬৭ থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। তবে করোনা মহামারীর পর উচ্চ মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অসাম্যসহ নানা কারণে ম্যালেরিয়া ও যক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রবণতা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু দুই বছরে করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ আয়ুষ্কাল বছর হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ করোনায় যত মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে, তারা সবাই বেঁচে থাকলে মোট ৩৩ কোটি ৬৮ লাখ আয়ুষ্কাল বছর বেশি হতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী প্রধান সামিরা আসমা বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে গড়ে ২২ বছর করে জীবনবর্ষ নষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh