বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
কোন ধরনের সমাধান ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে কোন ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি তারা। স্থানীয় সময় সোমবার এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন তারা। খবর : রয়টার্সের
দেশটির ঋণ বেড়ে আগের নির্ধারণ করা সীমার কাছে পৌঁছে গেছে। সুতরাং জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধি না করলে ফেডারেল সরকার ঋণ গ্রহণ করতে পারে না; ফলে জুন মাসের শুরুতেই তারা খেলাপি হয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে রিপাবলিকান দলের ঐকমত্য জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের ভাষ্য, মার্কিন কোষাগারে আর মাত্র দিন দশেক সরকারি ব্যয় মেটানোর অর্থ রয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে বর্তমান ঋণ গ্রহণ সীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে না বাড়ানো হলে দেশটির কোষাগার শূন্য হয়ে যাবে। ফলে দেশটি দেউলিয়া হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে; কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট দলের। ফলে বাইডেনের পক্ষে সহজে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। রিপাবলিকানরা বলেছে, ডেমোক্র্যাটরা সরকারি ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার না করলে তারা ঋণের সীমা বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দেবে না। ঋণের সীমা না বাড়লে দেশটির সরকার গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান, কংগ্রেস বিনা শর্তে ঋণের সীমা বৃদ্ধি করুক। তিনি বলেন, ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আপস বা শর্ত দেওয়া যাবে না। এই বিষয় সুরাহা হওয়ার পরই কেবল বাজেট হ্রাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh