শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

থাইল্যান্ডে বিরোধীদের জয়

বাংলাদেশ অনলাইন :   |   সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

থাইল্যান্ডে বিরোধীদের জয়

পিটা লিমজারোয়েনরাত এবং পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি : সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো বড় ধরনের জয় নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে লিবারেল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং ফেউ থাই পার্টি সেনাসমর্থিত জোটের থেকে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তবে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে প্রায় এক দশকের সেনাসমর্থিত শাসনের অবসান করতে তাদের আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা না হলেও প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জয়ের দিক থেকে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি শীর্ষ স্থানে আছে। এর পরের অবস্থানে আছে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাসিত নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফেউ থাই পার্টি। রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, এ দুই দল থাইল্যান্ডের জান্তার রাজনৈতিক দল পালাং প্রাচারাত এবং সেনাসমর্থিত দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির চেয়ে তিন গুণের বেশি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে।


এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার থাইল্যান্ডের বিরোধী দল ফেউ থাই বলেছে, তারা সংস্কারপন্থী মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ দিতে রাজি আছে। জোট সরকারে যোগ দিতে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা তারা গ্রহণ করছে। দলটি আরো বলেছে, পিটা লিমজারোয়েনরাত সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাত সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি তার দলীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তার অবস্থান স্বৈরশাসক ও সেনাসমর্থিত দলগুলোর বিপক্ষে থাকবে।


তিনি মনে করেন থাইল্যান্ডে এখন আর সংখ্যালঘু সরকার (নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও কোনো দল বা জোটের সরকার গঠন করা) গঠনের সুযোগ নেই। এখন তিনি ফেউ থাই দলের সঙ্গে জোট গড়তে প্রস্তুত আছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে চান।

এদিকে ফেউ থাইয়ের প্রার্থী ৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ডের অর্জনে তিনি খুশি। তবে জোট গঠন নিয়ে আলোচনার সময় এখনো হয়নি।


তবে জোট গঠন হলেও ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর সেনা সরকার প্রণীত সংসদীয় বিধির কারণে তারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। ওই বিধি সেনাসমর্থিত দলগুলোকে সুবিধা দেয়।

এখন সরকার গঠন করতে হলে বিরোধী দলগুলোকে জান্তার নিয়োগ করা সিনেট সদস্যসহ বিভিন্ন শিবিরের কাছ থেকে সমর্থন পেতে হবে। কারো কারো সঙ্গে তাদের চুক্তিও করতে হতে পারে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং পরবর্তী প্রশাসন গঠন করবেন, তা সিনেট সদস্যদের ভোটের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়। তবে এ সিনেট সেনাসমর্থিত দলগুলোর পক্ষে।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্রদলগুলোর জন্য বড় ধাক্কা। তবে সংসদীয় বিধিগুলো অনুকূলে থাকায় এবং তাদের পেছনে প্রভাবশালীদের হাত থাকায় এখনো তাদের সরকার গঠনের সুযোগ আছে।

advertisement

Posted ২:৪১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.