জি-২০ ভুক্ত সদস্যরাষ্ট্রের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা পরবর্তী মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে ১৪০ কোটি ডলারের তহবিল চালু করেছেন। তহবিলে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট তহবিলের এক-তৃতীয়াংশ। তবে আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ অর্থ যথেষ্ট নয়। পরবর্তী মহামারি মোকাবিলায় তহবিল ঘোষণা জি-২০ মন্ত্রীদের। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় জি-২০ কী করতে পারে-এই যৌথ তহবিল গঠন তার একটি উদাহরণ। খবর : রয়টার্সের

১৩ নভেম্বর (রবিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এতে বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। ভিডিও বার্তায় উইদোদো বলেন, জি-২০ সম্মেলনে মহামারি প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জি-২০ ও জি-২০ ভুক্ত নয় এমন দেশও এতে অর্থ প্রদান করবে। কিন্তু এ অর্থ মহামারি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, পরবর্তী মহামারি মোকাবিলায় ৩ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ বার্ষিক সম্মেলন। মহামারি-পরবর্তী সময়ে এ সম্মেলনে বৈশ্বিক নেতারা জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি দৃষ্টি দিচ্ছেন করোনা সময়ে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার দিকে। অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করার দিকে জোর দিচ্ছেন শীর্ষ দেশগুলোর নেতারা।