বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২০ মে ২০২৩
ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৯ মে (শুক্রবার) সংস্থাটির বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৩৩ কোটি ৭০ লাইফইয়ার (জীবন-বছর) নষ্ট হয়েছে। ভাইরাসটির প্রথম দুবছরেই ঘটে গেছে এই ঘটনা। এ ছাড়া এই শতাব্দির মাঝামাঝি নাগাদ মোট মৃত্যুর প্রায় ৮৬ শতাংশ হবে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজে (এনসিডি) অর্থাৎ, অসংক্রামক রোগে।
প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী তার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ডব্লিউএইচও কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, মহামারিটিতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে, বিশ্বাস করা হয় ভাইরাসটিতে প্রায় দুই কোটি মানুষ জীবন হারিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মহামারি ভাইরাসটি কীভাবে সংকটের সৃষ্টি করেছে এবং এর প্রভাবে হঠাৎ করেই লাখ লাখ মানুষের জীবনকে সংক্ষিপ্ত করেছে, তা বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব এখনও সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের অগ্রগতি উপভোগ করছে। তবে, অসংক্রামক রোগ সৃষ্ট মৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০০০ সালে প্রতি বছরে বৈশ্বিক মোট মৃত্যুর ৬১ শতাংশ অসংক্রামক সম্পর্কিত ছিল। এই সংখ্যা ২০১৯ সালে এসে ৭৪ শতাংশে ঠেকে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ‘এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, এই শতকের মাঝামাঝি নাগাদ বার্ষিক মৃত্যুর প্রায় ৮৬ শতাংশই হবে অসংক্রামক রোগে।’
প্রতিবেদনটি বলছে, চলতি শতাব্দীর প্রথম দুই দশকে গোটা বিশ্ব মা ও শিশু স্বাস্থ্যে বেশ উন্নতি দেখেছে। এ সময়ে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমেছিল এক তৃতীয়াংশ। একইসঙ্গে এইচআইবি ভাইরাস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষার মতো রোগগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কমেছিল। এমনকি, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডি) মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে।
২০০০ সালে মানুষের বৈশ্বিক গড় আয়ু ছিল ৬৭ বছর। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির জন্য ২০১৯ সালে মানুষের গড় আয়ু গিয়ে ঠেকে ৭৩ বছরে। তবে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দেখা যায়। টিকাদানে বৈষম্যের চিত্র ফুটে ওঠে। আগের বছরগুলোতে ম্যালেরিয়া ও টিবি রোগের সংক্রামণ কমানোর দিক থেকে উন্নতি হলেও মহামারির পরে সেটি আবার পেছনের দিকে চলে যায় অর্থাৎ, অবস্থার অবনতি হয়।
Posted ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh