দেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। শারীরিকভাবে ভালো-খারাপের মধ্যেই যাচ্ছে অবস্থা। তবে মানসিকভাবে তিনি বেশ শক্ত আছেন। তবে আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমান শারীরিক অবস্থাসহ অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
প্রশ্ন : কেমন আছেন, শরীরের বর্তমান অবস্থা কী?
উত্তর : ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছি। এখন আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি। তবে শরীরটা খুব দুর্বল। তাই সারাক্ষণ বিশ্রামে আছি।
প্রশ্ন : মাঝে শোনা গেছে আপনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কয়েকদিন হলো স্বাস্থ্যের অবনতির খবর প্রকাশ হয়েছে…
উত্তর : ঠিক তাই। এটা তো সময়ের ব্যাপার। কখন কী হয় বলা যায় না। হঠাৎ ভালো হওয়া, আবার একটু অবনতি হওয়ার বিষয়টিও করোনার একটি লক্ষণ বলা যায়। তবে সবচেয়ে বড় কথা ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে যাচ্ছি আমি।
প্রশ্ন : একে তো ঘরবন্দউ, তার মধ্যে অসুস্থতা। কিভাবে সময় পার করছেন?
উত্তর : বাসায় আছি, এ মুহূর্তে লেখালেখি করেই সময় কাটাচ্ছি। সঙ্গীতচর্চা তো আমার নিয়মিত কাজ। তবে ঘরের অন্যান্য কাজ এখন করতে পারছি না। পরিবারের অন্য সদস্যরা করছেন। আমি একেবারেই আলাদা আছি। ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলছি।
প্রশ্ন : এ মুহূর্তে কোন সমস্যাটা বেশি আপনার মধ্যে?
উত্তর : শ্বাসকষ্ট। যখন শুরু হয় অসহ্য লাগে, মনে হয় মরে যাচ্ছি। আসলে যারা এ অবস্থা পার করে এসেছেন তারা ঠিক বুঝতে পারবেন বিষয়টি।
প্রশ্ন : ঘরে বসে দেশের খবরাখবর পান নিশ্চয়ই?
উত্তর : হ্যাঁ, টেলিভিশনে তো খবর দেখি। করোনার আপডেট তো প্রতিদিনই শুনি, দেখি। মনটা খারাপ তাই। প্রতিদিনই সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। সুস্থতাও বাড়ছে। জানি না এ সংক্রমণ কবে শেষ হয়।
প্রশ্ন : অন্যান্য পেশার মতো সঙ্গীতাঙ্গনের অবস্থাও তো করুণ এ সময়ে…
উত্তর : এটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সবই চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে। চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু বলারও নেই। অপেক্ষার পালা। সবাই সচেতন হয়ে কিছু দিন ধৈর্য ধরে সময় পার করতে হবে। এটি বিশ্বজুড়ে এক মহামারী। কে কখন চলে যায় বলা যায় না। আমিও চলে যেতে পারতাম। তাই এখন কোনো কিছুর অবস্থা নিয়ে কিছু বলার নেই। বেঁচে থাকলে অনেক কিছু করা যাবে।
প্রশ্ন : দেশবাসীর উদ্দেশে কী বলার আছে?
উত্তর : জীবনটা তো নিজের। নিজেরা যদি নিজকে ভালোবাসি তবে অবশ্যই সচেতন হয়েই কাজ করব। বাইরে যাবেন না বললেই তো কেউ বাইরে যাওয়া বন্ধ করবে না। তাই জীবনকে ভালোবাসুন তো সেভাবেই চলুন, যাতে নিজকে সুস্থ রাখা যায়। সবাই যেন সুস্থ থাকেন এই দোয়া করি।