বাংলাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
দক্ষিণ আফ্রিকায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার এক দম্পতিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। অল্পের জন্য রক্ষায় পেয়েছে তাদের দুই শিশুকন্যা। গত রোববার দেশটির জোহানেসবার্গ শহরে এ ঘটনা ঘটে। সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর জব্বার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন– ওই ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মো. মহিন ভূঁইয়া (৩২) ও তাঁর স্ত্রী রুনা আক্তার (২৫)। রুনা একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির মো. লিটনের মেয়ে। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার জানান, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গে মহিন ও তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় তাদের তিন ও দুই বছরের দুই শিশুকন্যা। আফ্রিকায় থাকা মহিনের ছোট দুই ভাই রোববার রাত ২টার দিকে বিষয়টি বাড়িতে জানান। প্রাথমিকভাবে এর বেশি কিছু এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত মহিনের ছোট ভাই মফিজ ভূঁইয়া বলেন, ‘জীবিকার সন্ধানে আমার বড় ভাই ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। এরপর ছয় বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। আমরা আরও দুই ভাই দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী। আমাদের ভাবি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যান ভাই। সেখান থেকে নিজের বাসার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামতে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে এলে ভাবিকেও গুলি করে তারা। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িতে থাকা তাদের দুই সন্তান বেঁচে যায়।’
নিহত প্রবাসীর গ্রামের মসজিদের মাইকে তাদের মৃত্যুর সংবাদ জানানোর পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহিনের পরিবারের লোকজন মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমি নিহতদের বাড়িতে যাব। তাদের মরদেহ দেশে আনা ও দাফনে উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
Posted ৯:১০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh