বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন রোববার এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সেটাকে ভালো বলা যাবে না। এখনো হাসপাতালে তাকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। সে কারণে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’
খালেদা জিয়া ১১ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৯ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা দিচ্ছে। তাকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সেটি এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
এর আগে ১২ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া অসুস্থবোধ করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গুলশানের বাসায় গিয়ে তাকে দেখে আসেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে যান।
এর আগে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।
Posted ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh