বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চতুর্থ ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন ও জাতীয় চা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি : পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা আমার খুব প্রিয়। আমি চা পান করি। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চা শ্রমিকদের ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। তাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমার হাতের বালাও চা শ্রমিকদের দেওয়া উপহার। ৪ জুন (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করেছিলেন। চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা অনাগ্রসর। তারা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ করা, যত্ন করা, কীভাবে আরও চা উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরি ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। সরকারপ্রধান বলেন, চা অর্থকরি ফসল হচ্ছে। দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণার ওপর বিশেষ গুরত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, চা শ্রমিকরা ভাসমান থাকবে কেন? তারা ভাসমান থাকবে না। সেজন্য আমাদের যা যা করার দরকার তা করা হবে। আবার চা বাগানে সোলার প্যানেল করা একান্তভাবে দরকারি, তাহলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হবে। বাগান মালিকদের উদ্দেশে করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অভিভাবকদের মতো করে শ্রমিকদের দেখবেন, যাতে তাদের জীবনমান উন্নতি হয়। চা শ্রমিকরা যাতে আবাসন থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা আপনারা করবেন।
অবশেষে চা শ্রমিকরা কিন্তু অন্য কোথাও ভোট দেয় না। তারা নৌকায়ই ভোট দেয়। অনেকে অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা নৌকায় ভোট দেয় বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাতীয় চা মেলার উদ্বোধন করেন।
Posted ৪:০৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh