বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল সাড়ে আটটায় রাজধানীর সূত্রাপুরের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এটি এম শামসুজ্জামান স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্ট শুরু হলে এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ড. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকালে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস এ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিলে তাকে। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনয় থেকেও দূরে ছিলেন তিনি।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে।
এ অভিনেতার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। অভিনয়ের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার হিসেবেও তিনি পরিচিত।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ পর্যন্ত তিনি শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন।
প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন এ শিল্পী।
Posted ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh