বিনোদন ডেস্ক | শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পেয়ারর সুবাস আসলে একটা গন্ধের ছবি। সেটা পেয়ারার মতো সুগন্ধ হতে পারে আবার অন্য ধরনের গন্ধও হতে পারে। শুধু এই একটি বক্তব্যই নয়; এই ছবিতে অনেকগুলো বক্তব্য রয়েছে যা আমাদের সাধারণ মানুষ থেকে সচেতন কিংবা সংবেদনশীল মানুষদের জানা দরকার- বলছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ চলচ্চিত্র। ছবিতে জয়া আহসানের চরিত্রের নাম পেয়ারা।
জয়া আহসান বলছিলেন, ইরানে গিয়েছিলাম সেখান থেকে এসেই ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। ক্লান্ত আমি কিন্তু ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি, কেননা আমি মনে করি এই ছবিটার প্রচারণা দরকার। বৈবাহিক ধর্ষণের মতো যেমন সংবেদনশীল বিষয় রয়েছে তেমনি রয়েছে, অনেক বার্তা। আমার প্রথম চলচ্চিত্র নুরুল আলম আতিকের ডুবসাঁতার। আমি জানি আতিক একজন মেধাবী নির্মাতা। তিনি যখন সিনেমা নির্মাণ করতে যান, সেখানে সমস্ত মেধার স্বাক্ষর রাখেন, সেই সিনেমায় অনেকগুলো ব্যাপার থাকে, অনেকগুলো উপাদান থাকে। আমি আতিকের সিনেমায় কাজ করতে দ্বিধাবোধ করি না।
পেয়ারার সুবাস দেখা দরকার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে মনে করেন জয়া আহসান। এর কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘আগেই বলেছি সিনেমায় অনেকগুলো বক্তব্য রয়েছে। সেই বক্তব্য সমাজে ছড়ানোর দরকার রয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধকতা ও ভাঙনের গল্প রয়েছে। সংবেদনশীল মানুষ যখন এই সিনেমা দেখবে, সমাজের পরিবর্তন কিছুটা হলেও আসবে।’
ইরানের ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে ‘ফেরেশতে’। সেই আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে এ জয়াকে দেখা যায় ভিন্ন পোশাকে। দেশের গণমাধ্যম থেকে সবাই বলছিলেন ইরানের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে জয়াকে বেশ ভালো মানিয়েছে। কিন্তু দেশ রূপান্তরের সঙ্গে আলাপনে জয়া বললেন, ‘সবাই ভুল করছেন। আমি যে পোশাক পরেছি সেটা মোটেও ইরানের পোশাক নয়। ওটা বাংলাদেশের পোশাক। আমি যেখানেই যাই বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করি। আমি আমার ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করি।’
জয়ার পরিধানে ছিল শাড়ি এবং সেটা বংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের তৈরি। জয়া বললেন, ‘অনেকেই আমার হিজাব দেখে হয়তো জাজ করে ফেলেছেন। কিন্তু আমি পরেছিলাম শাড়ি। যেটা হাউজ অব আহমেদ নামের বংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা। শীতের কারণে আমি শুধু তার ওপর একটা জ্যাকেটের মতো পরেছি। আর হিজাব পরেছি একটি রাষ্ট্রকে সম্মান জানাতে। যেহেতু ইরানে সবাই হিজাব পরে সেই সম্মানটুকু করতে চেয়েছি। তাছাড়া এই চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভীষণ আতিথেয়তা পেয়েছি। সবাই সিনেমা দেখার পর প্রশংসা করেছে এটাও বেশ দারুণ অভিজ্ঞতা আমার জন্য।’
Posted ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh