বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
যুগপৎ আন্দোলন ত্যাগ করে শরিক দুটি দলের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘এ ঘটনায় এ দেশের রাজনীতির পুরোনো একটি কথা মনে পড়ছে। ‘জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো ইজ এ বিগার জিরো’। আওয়ামী লীগের বেলায়ও আজ আবার নতুন করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে। ‘হর্স ট্রেডিং’ করে বিভিন্ন দলের নাম জানা-না জানা নেতাদের ভুয়া নির্বাচনের সার্কাসে যোগদান করানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।’ ২২ নভেম্বর (বুধবার) রাতে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘শুধু তাই নয়, এটা এখন একদম স্পষ্ট যে সুষ্ঠু, নিরপক্ষে ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তাদের যে আর জয়ী হবার কোন সম্ভাবনাই নেই সেটা আজ জনগণের কাছে তারা নিজেরাই তাদের এই মরিয়া কার্যকলাপে নিশ্চিত করে দিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের সাম্প্রতিক একতরফাভাবে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা থেকে শুরু করে সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগকে অপব্যবহার করে যেভাবে বিগত প্রায় চার সপ্তাহ ধরে সারাদেশব্যাপী অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে এককভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে রেইড করে ও পুরোনো ভূয়া মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান করে নির্বাচনের অযোগ্য করে দিচ্ছে, তাতে এটা আর লুকোনোর কিছু নেই যে, সরকার এদেশ থেকে বিএনপির উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করতে চায়। তবে বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, জনগণ বিএনপিকে অন্তর থেকে গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ তথা দুর্নীতিপূর্ণ অপশাসনের চিরতরে অবসান চায়।’
ড. মঈন খান আরও বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের রাজনীতির এই সঙ্গিন মুহূর্তে একের পর এক নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে একদলীয় সরকার। একদিকে আমরা দেখলাম বিএনপি’র মহাসচিবের বেইল পিটিশন বারবার গড়িমসির পরে আজও আবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে এই যে, আওয়ামী সরকার সংঘাতের রাজনীতি ব্যতিরেকে অন্য কোন রকম শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। যেন তেন প্রকারে নির্বাচনের নাটক করে একদলীয় শাসন ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র অভীষ্ট।’
Posted ২:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh