শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্কে কর্মসূচি

জিয়ার ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী রোববার

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

জিয়ার ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী রোববার

আগামী ৩০ মে, রোববার বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে গভীর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে ৪৫ বছর বয়সে তিনি নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়ক। নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন।

তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম,পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ?তা প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সৈনিক। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কাছে তার যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়কের ভাগ্যে তা জোটেনি। মাত্র ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু সাধারণ মানুষ তার ওপর ছিল প্রচণ্ড আস্থাশীল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার ওপর মানুষের এই আস্থায় কোনো চিড় ধরেনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী থানার বাগবাড়িতে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে পিতার সাথে কলকাতায় এবং দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান জিয়াউর রহমান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন।


১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সাথে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তার কোম্পানি যুদ্ধে সবচেয়ে অধিক খেতাব লাভ করে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জন্য তিনি নিজেও একটি পিস্তল উপহার পান। সৈনিকজীবনে তিনি যেমন চরম পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন ঠিক জাতীয় সব সঙ্কটকালেও শক্ত হাতে হাল ধরেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, নেতারা যে যে দিকে পারেন আত্মগোপন কিংবা পালিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, জিয়াউর রহমান তখন চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বিশ্বসম্প্রদায়কে বাংলাদেশের মানুষের এ ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে সমর্থনের আবেদন জানান। ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে সমরনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন।

১৯৭৫ সালে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাক আহমদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করা হয়। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় ছিল যে, প্রকৃতপক্ষে সে সময় দেশে কোনো সরকার ছিল না। কোথা থেকে কী হচ্ছে তা জানতে পারছিলেন না কেউ। চার দিকে এক অনিশ্চয়তা-বিশৃঙ্খলার মাঝে আধিপত্যবাদের শ্যেন দৃষ্টিতে উৎকণ্ঠিত ছিল সারা জাতি।


ইতিহাসের সেই বিশেষ ক্ষণে সিপাহি-জনতার মিলিত প্রয়াসে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন এবং নেতৃত্বের হাল ধরেন। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তিনি বাংলাদেশের মানুষের উপযোগী একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটান। দেশে সমন্বয়ের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিতে এক দিকে যেমন চরম বামপন্থীরা স্থান পায় তেমনি চরম ডানপন্থীরাও জায়গা করে নেন। একটি উদার ও মধ্যপন্থী দল হিসেবে বিএনপিকে গড়ে তোলেন তিনি, যা বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতায় সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল। তার অমরকীর্তি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ সংযোজন করা। এ ছাড়াও তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান তিনি। তাকে নিয়ে অনেকেই আজকাল ইঙ্গিতে কটু কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু জীবদ্দশায় কেউ কোনো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারেননি। তার মতো সাদামাটা জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ কেন সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের ইতিহাসে খুব বেশি নেই। তার চরিত্রে কোনো কপটতা ছিল না। সময় ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তিনি নেতৃত্বে এসেছেন। কাউকে উৎখাত কিংবা উচ্ছেদ করে তিনি আসেননি। এখানেই জিয়াউর রহমান ও অন্যদের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।

বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা


করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে বিএনপি। গত ২৩ মে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৯ মে বিকাল সাড়ে তিনটায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং ৩০ মে ভোরে কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলা ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ। আগামী ৩০ মে মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ঢাকা মহানগরসহ জেলা-উপজেলা-পৌরসভায় দলের প্রতিষ্ঠাতা আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি ছাড়াও দলের সব অঙ্গসংগঠন নিজস্ব নিয়মে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।

নিউইয়র্কে কর্মসূচি

বাংলাদেশ রিপোর্ট : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৩০ মে রোববার সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শের সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন।

এদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’ নামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অরাজনৈতিক ও সর্বজনীন সামাজিক সংগঠন বিগত বছরগুলো মতো এবছরও নিউইয়র্কে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আগামী ৩০ মে জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কাশেম। তিনি জানান, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী সংগঠনটি উত্তর আমেরিকার দলনিরপেক্ষ ও সর্বজনীন সংগঠন।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে ৩০ মে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাফেল তালুকদারকে আহ্বায়ক, আশরাফ উদ্দিন ঠাকুরকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং সারওয়ার খান বাবুকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম।

জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ২৯ মে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দল, যুক্তরাষ্ট্র যুবদল, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের যৌথ উদ্যোগে একটি দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি চিত্র নায়ক হেলাল খান, প্রধান বক্তা গিয়াস আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল উপস্থিত থাকবেন।

গ্রেটার জাতীয়তাবাদী ফোরাম অব নর্থ আমেরিকার উদ্যোগে ৩১ মে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের ইত্যাদি রেস্টুরেন্টে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিশেষ অতিথি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. এস আই শেলী। এতে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানেিয়ছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসেত রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন।

 

advertisement

Posted ১:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

কাঁঠাল সমাচার
কাঁঠাল সমাচার

(1401 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.