আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে রাজধানী ঢাকায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। ৪ ডিসেম্বর (রোববার) ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এরই সত্যতা পাওয়া গেছে। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর চেক পোস্টে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

‘খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট’: ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি নেত্রীর ওপর নির্যাতনের আরেকটি নতুনমাত্রা। এমনিতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তার ওপর একের পর এক বন্দিত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠোরভাবে বন্দি করে রাখার পায়তারা চলছে।

৪ ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। এসময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিষয়ে রিজভী বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজারে টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি।

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতেই ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকায় তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা বিচারের হাত থেকে বাঁচতে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে নিরাপদ মনে করছেন না শেখ হাসিনা। এ সময় রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের চেকপোস্ট প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নয়নকে তার পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানান।