বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
ঢাকার উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বিআরটির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাঝুবা গ্রুপ কর্পোরেশনের (সিজিজিসি) বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট (সোমবার) মধ্যরাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের ভাই আফরান মণ্ডল বাবু। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ক্রেন চালকও।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি কাজ করছে। এই কাজের অংশ হিসেবে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী রাস্তায় বক্সগার্ডার একটি ক্রেনের সাহায্যে লোবেট ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে সড়কে যান চলাচলের সময় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করা হচ্ছিল। তার স্বজনদের বহনকারী গাড়িটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বক্স গার্ডার গাড়িটির চালকের আসনসহ পেছনের আসনের অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে আছড়ে পড়ে। ফলে ঘটনাস্থলেই গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হন। আসামিদের অবহেলার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ক্রেনের চালক, সিজিসিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তাই এ মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুসারে নিহতদের মধ্যে চালকের আসনে ছিলেন বেঁচে যাওয়া রেজাউল করিম হৃদয়ের বাবা এবং রিয়া আক্তারের শ্বশুর আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫)। পেছনে বসেছিলেন হৃদয়ের শাশুড়ি ও রিয়ার মা ফাহিমা আক্তার (৩৮), ফাহিমার বোন ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশু সন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Posted ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh